হজ করার নিয়ম ও দোয়া | Rules and prayers of Hajj | হজ ওমরা

হজ করার নিয়ম ও দোয়া | Rules and prayers of Hajj | হজ ওমরা 

Rules and prayers of Hajj


হজ্জের নিয়ম কানুন ও দোয়া

যখন ইহরাম বাঁধার ইচ্ছা করবে, তখন ইহরাম বাঁধার নির্ধারিত স্থানে। বা অন্য কোন খানে অযূ-গোসল করে দুরাক’আত নামায পড়বে। এরপর যে প্রকারের হজ্জ আদায় করবে সে প্রকারের নিয়্যত করবে।


যথাঃ হজ্জে কেরানের ইচ্ছা করলে বলবে, “হে আল্লাহ্! আমি হজ্জ ও ওমরাহ উভয়ই আদায় করার সংকল্প করছি। অতএব তুমি এ দু’টি কাজকে আমার জন্য সহজ করে দাও এবং আমার পক্ষ হতে এগুলো কবুল কর।”


নিয়্যত করার পর নিম্নলিখিত তালবিয়াটি পাঠ করবে—

হজের তালবিয়া বাংলা উচ্চারণ:-

উচ্চারণ : লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকালাকা লাব্বাইকা ইন্নাল হামদা, ওয়ান্ নি’মাতা, লাকা ওয়াল মুলকা, লা শারীকালাকা ৷


অর্থ : হে আল্লাহ! আমি হাজির আছি, আমি হাজির আছি! আমি হাজির আছি! তোমার কোন অংশীদার নেই, আমি হাজির আছি! নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও গুণ-গান তোমারই জন্য এবং এ রাজত্ব তোমারই। তোমার কোন অংশীদার নেই।


এরপর হজ্জের সময় যেসব কাজসমূহ করা নিষেধ আছে সেসব কাজসমূহ হতে বিরত থাকবে এবং সর্বদাই তালবিয়াহ্ ও দোয়া-দরূদ পড়তে থাকবে।


আরো পড়ুন >> ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ কি কি?


এরপর পবিত্র মক্কা নগরীতে প্রবেশ করে সাতবার কা’বা শরীফ প্রদক্ষিণ করবে, অবশ্য প্রথম তিনবার বাহাদুরের মত প্রদক্ষিণ করবে।

আরো পড়ুন>> কাবা শরীফ দেখার পর যে দোয়া করাতে হয়

এরপর সাফা-মারওয়া পাহাড়সমূহে সাতবার করে দৌড়াদৌড়ি করবে।

আরো পড়ুন>> সাফা মারওয়ায় যে সকল দোয়া

এরপর ৮ জিলহজ্জ পর্যন্ত পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থান করবে। এ সময়ের মধ্যে হজ্জে তামাত্ত্বো‘অ আদায়কারী ব্যতীত কোন লোক হালাল হতে পারবে না। অবশ্য হজ্জ আরম্ভ হবার আগে হজ্জে ক্বেরান আদায়কারী হজ্জের জন্য একটি পৃথক তাওয়াফ করতে হবে এবং সাফা-মারওয়া নামক দু’টি পাহাড়ে দৌড়াতে হবে।


আরো পড়ুন>> হজের প্রকারভেদ ও কোন হজ বেশি উত্তম?


জিলহজ্জ মাসের আট তারিখ সকালে ফজরের নামায আদায় করে মীনাতে যাবে এবং নয় তারিখ ফজর পর্যন্ত সেখানে থাকবে।

নয় তারিখ সকালে ‘আরাফাতের মাঠে যাবে এবং যুহরের নামাযের সময় যুহর ও আছরের নামায একত্রে আদায় করবে।

আরো পড়ুন>> আরাফার দিনের দোয়া

এর পর সকলেই মুযদালিফা নামক স্থানে গিয়ে সেখানে মাগরিব এবং এশার নামায একসাথে আদায় করবে। অবশ্য মাগরিবের নামায এশার সময়েই আদায় করবে।

এরপর দশ তারিখের সূর্য উদয় হবার আগেই মীনাতে গিয়ে “জুমরায়ে ‘আকাবা” নামক পাথরকে সাতটি কংকর নিক্ষেপ করবে।

এরপর কুরবানী দিয়ে মাথা মুড়িয়ে বা চুল কেটে ইহরাম মুক্ত অর্থাৎ হালাল হয়ে যাবে। এ সময় হজ্জের নিষিদ্ধ কর্মসমূহ করতে পারলেও স্ত্রী সহবাস করবে না।

এরপর ঐ দশ, এগার অথবা বার তারিখে মক্কা শরীফে এসে পুনরায় কা’বা শরীফের তাওয়াফ করবে এবং এ তাওয়াফের পর স্ত্রী সহবাস করতে পারবে।

এরপর ১২ তারিখে পুনরায় মীনাতে এসে “জুমরায়ে উলা, ‘ জুমরায়ে আকাবা ও জুমরায়ে উস্তা” নামক তিনটি পাথরকে ন’টি করে কংকর নিক্ষেপ করবে, এ কাজটি দ্বিপ্রহরের পরে করবে।

এরপর ১৩ তারিখে আবার দুপুরের পরে তিনটি পাথরকে কংকর নিক্ষেপ করবে। এরপর দেশে ফেরার সময় পুনরায় পবিত্র কা’বা ঘরকে সাতবার তাওয়াফ করবে।

আরো পড়ুন>> মদিনা ও নবীজীর রওজা জিয়ারতের ফজিলত, নিয়ম ও দোয়া


উল্লেখ্য, হজ্জের সময়ে সর্বদা তালবিয়া, দোয়া-দরূদ, কালিমাহ ইত্যাদি বেশী বেশী করে পাঠ করবে।

আল্লাহ আমাদের সকলকে হজ্জ ও ওমরা করার তৌফিক দান করুন।

*** ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন। সওয়াবের উদ্দেশ্যে বন্ধুদের নিকট ছড়িয়ে দিন।

Leave a Reply