আল্লাহর ভয়ে যে চোখ কাঁদে | allahor voye je chokh kade | islamic post

 আল্লাহর ভয়ে যে চোখ কাঁদে | allahor voye je chokh kade

islamic post

islamic post | bangla hadis


আল্লাহর ভয়ে যে চোখ কাঁদে | islamic post | bangla hadis

‘জামেউল হেকায়াত’ নামক কিতাবে আছেঃ-

হযরত আবু বকর সিদ্দীক ( রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু )-এর আমলে ‘জোরাদ’ নামক এক কুখ্যাত পাপিষ্ঠ ব্যক্তি কুফায় বসবাস করিত ৷ তাহার মৃত্যুর দিন হযরত আবু বকর সিদ্দীক ( রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ) ঘটনাক্রমে কুফায় গমন করেন এবং ঐ ব্যক্তির কাফন দাফনে অংশ গ্রহণ করেন।


তাহাকে কবরে রাখিয়া যখন কবরের মাটি সমান করা হইতেছিল, এমন সময় তাহার মা বিলাপ করিতে করিতে ছুটিয়া আসিয়া হযরত আবু বকর ( রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু )-এর জামার আঁচল ধরিয়া করুণভাবে বলিল, হুযূর আমি আমার ছেলেকে মৃত্যুর পর দেখি নাই। দয়া করিয়া শেষ বারের মত তাহার চেহারাখানি আমাকে দেখাইয়া দিন।


বৃদ্ধা মায়ের কাকতি-মিনতি দেখিয়া হযরত আবু বকর ( রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু )-এর দয়া হইল। তিনি অনুমতি দিলেন যেন কবরের মাটি ফাঁক করিয়া মুর্দার চেহারা তাহার মাকে দেখানো হয়৷


আল্লাহ তা’আলার অপরিসীম কুদরত!

কবরের মাটি সরানো মাত্রই দেখা গেল- মুর্দার নূরানী চেহারার রৌশনীতে সারা কবর রৌশন হইয়া গিয়াছে। এই অবস্থা দেখিয়া হযরত আবু বকর ( রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ) আশ্চর্যান্বিত হইলেন এবং তাহার সম্পর্কে লোকদের নিকট জানিতে চাহিলেন। লোকেরা ঐ মৃত লোকটির আজীবন পাপাচারের কথাই বলিল।

আরো পড়ুন>> সরাসরি আল্লাহর কুদরত প্রকাশ


অর্থাৎ, নূরানী চেহারা লাভ করার মত কোন নেককাজ সে জীবনে করিয়াছে বলিয়া কোন প্রমাণ লোকদের নিকট পাওয়া গেল না।


হযরত আবু বকর সিদ্দীক ( রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ) এর স্বপ্ন:

পরবর্তী রাত্রে হযরত আবু বকর সিদ্দীক ( রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ) স্বপ্নে দেখিলেন, ঐ লোকটি হযরত নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে সুদর্শন বেশে বসিয়া রহিয়াছে। নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আবু বকরকে জিজ্ঞাসা করিলেন- গতকাল তুমি কি এই লোকটির কবরে তাহার চেহারার নূরানী চমক দেখিয়াছিলে?


হযরত আবু বকর ( রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ) জওয়াব দিলেন জী হ্যাঁ। নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন- এই লোকটি ছিল বড়ই গুনাহগার পাপী কিন্তু কোন গুনাহ্ করার পর সে খোদার ভয়ে খুব কান্নাকাটি করিত। কাঁদিতে কাঁদিতে তাহার দুই চোখ পানিতে ভিজিয়া যাইত।

আরো পড়ুন>> উমর রা. এর ইসলাম গ্রহণ


আল্লাহ তা’আলা তাহার এই খোদা-ভীতি ও রোদনের বরকতে তাহার সমস্ত গুনাহ মাফ করিয়া দিয়াছেন এবং তাহাকে এই বুলন্দ মর্তবার অধিকারী করিয়াছিলেন।


খোদার ভয়ে কাঁদিলে মানুষের মর্যাদা এমনিভাবেই উন্নত হইয়া থাকে।

এমন হাজারো প্রমান রহিয়াছে যে, যতই বড় গোনাহগার আর পাপীই হোক না কেন, আল্লাহকে ভয় করিয়া তাহার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করিলে তিনি অবশ্যই ক্ষমা করিয়া দেন।

আরো পড়ুন>> হযরত উসমান রা. এর ব্যবসা


আর মহান প্রভু যাহাকে মাফ করিয়া দিবেন সে, এতই আনন্দ লাভ করিবে যেন বিনা মুখেই হাসিবে- ঐ চক্ষু কতই না মোবারক। যাহা আল্লাহ্র ভয়ে কাঁদে! আর যে প্রাণ তাঁহার ভালবাসার আগুনে জ্বলিয়া ভূনা-ভাজা হয়, তাহা কতই না খোশ নছীব! জানিয়া রাখ, আমাদের প্রত্যেকবারের কান্নার পরিণামে হাসি-খুশি রহিয়াছে, অর্থাৎ, ইহকালে কাঁদিলে পরকালে অবশ্যই আনন্দের অধিকারী হইবে।


বস্তুতঃ ভাগ্যবান বান্দা সে-ই, যে ভবিষ্যতের বিষয় চিন্তা করে- পরিণামের কথা ভাবিয়া দুনিয়ায় জীবনকাল অতিবাহিত করে।


*** আল্লাহ আমাদের সকল কে তোমার কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রর্থনার তৌফিক দাও। (আমিন) ***


*** ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন। সওয়াবের উদ্দেশ্যে বন্ধুদের নিকট ছড়িয়ে দিন।


Leave a Reply