আল্লাহর সাথে ব্যবসা | ‍allahor sathe bebsa | islamic history and culture | islamic post

 আল্লাহর সাথে ব্যবসা | ‍allahor sathe bebsa

ইসলামিক পোস্ট

islamic history and culture | islamic post

একদা হুজুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম এর জামাতা হযরত আলী  রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু এর ঘরে খাবারের অভাব থাকার করণে, খাদ্য-শস্যের মূল্য যোগাড় করার জন্য আম্মাজান হযরত ফাতেমা  রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহা -এর একখানা চাদর বাজারে বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলেন এবং ছয় দিরহাম মূল্যে কোন এক ব্যক্তির নিকট উহা বিক্রয় করে। ক্ষুদার্থ পরিবার-পরিজনেরর জন্য খাবার কিনতে তিনি খুব তারাতারি রওয়ানা করলেন। 


আল্লাহর সাথে ব্যবসা

অতঃপর হযরত আলী  রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু, বাড়ি দিকে ফিরে রওয়ানা হলে, তিনি পথিমধ্যে এক ভিক্ষুককে সওয়াল করতে (ভিক্ষা চাইতে) দেখে  ছয় দিরহাম, অর্থাৎ পুরো টাকাটাই তাকে দান করে দিলেন।  

অন্যদিকে পরিবারের সকলে অনাহারে আছে; খালি হাতে বাড়ি ফিরে গিয়ে নিজেরা কি খাবেন, তাও একটিবার তিনি চিন্তা করলেন না। 

আরো পড়ুন>> কোরআনে বর্ণিত ছামুদ জাতির ঘটনা


কিন্তু আল্লাহ তা’আলার শান দেখুন: 

হযরত আলী  রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু খালি হাতে নিজ বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়েছেন। এমন। সময় হযরত জিবরাঈল আলাহিস সালাম বেদুঈন বেশে একটি উষ্ট্রীসহ হযরত আলী  রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু এর সামনে এসে বললেন- হে আলী! আপনি ইচ্ছা করলে আমার এই উষ্ট্রী ক্রয় করতে পারেন, এবং এই উষ্ট্রীর মূল্য পরে দিলেও চলবে । 

আরো পড়ুন>> কোরআনে বর্ণিত ইব্রাহিম আ. এর ঘটনা


হযরত আলী রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু একশত দিরহাম মূল্য সাব্যস্ত করে ধারে উষ্ট্রীটি খরিদ করতঃ সেখান হতে রওয়ানা হয়ে চললেন। 

এমন সময় হযরত মীকাঈল আলাহিস সালাম মানুষের বেশে হাজির হয়ে তাকে বললেন- ওহে ভাই, আপনি কি এই উষ্ট্রীটি বিক্রয় করবেন? যদি করেন, তবে আমি ইহার মূল্য আপনাকে একশত ষাট দিরহাম দিব। 

এই প্রস্তাব শুনে হযরত আলী রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু আনন্দিত হয়ে একশত ষাট দিরহাম মূল্য নগদে বুঝে পেয়ে উষ্ট্রীটি আগন্তুকের নিকট বিক্রয় করে দিলেন।

আরো পড়ুন>> কোরআনে বর্ণিত নূহ নবীর ইতিহাস

ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে আপন আপন পথে যেতে লাগলো। ঠিক এমন সময় পূর্বের ঐ ব্যক্তি (যিনি হযরত আলী রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু এর  নিকট ধারে উট বিক্রয় করে গিযেছিলেন) হঠাৎ হযরত আলী রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু এর সামনে উপস্থিত হয়ে নিজের প্রাপ্য একশত দিরহাম পরিশোধ করার জন্য বললেন। হযরত আলী রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু তৎক্ষণাৎ একশত দিরহাম তাঁকে দিয়া দিলেন এবং অবশিষ্ট ষাট দিরহাম নিয়ে নিজ গৃহে ফিরে আসলেন। 


হযরত আলী রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু এর হাতে নগদ ষাট দিরহাম দেখে আম্মাজান হযরত ফাতেমা রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহা জিজ্ঞাসা করলেন- আপনি এতো টাকা কোথায় পেলেন? আমার চাদরের মূল্য তো এতো টাকা হওয়ার কাথানা। জওয়াবে তিনি বললেন- আমি আল্লাহ তা’আলার সঙ্গে একটি

তেজারত (ব্যবসা) করে ছিলাম। তাতে আমার ষাট দিরহাম মুনাফা হয়েছে। চাদরের মূল্য ছিলো ছয় দিরহাম, অতঃপর এক ভিক্ষুক আমার কাছে চাওয়াতে আমি তাকে তা দান করে দিয়েছে। আর মহান আল্লাহ তায়ালা দানের মূ্ল্য দশ গুন বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকেন। তাই তিনি আমাকে ষাট দিরহামের মালিক করে দিয়েছেন। 


মহান রবের নিকট ফরিয়াদ:

আল্লাহ তা’আলা সকল মুসলমানকে তাঁহার রাস্তায় ইখলাছের সহিত দান-খয়রাত করার তওফীক দান করুন এবং তাঁর পেয়ারা নবীর খাতিরে আমাদের সকলের ‘খাতেমা বিল্ খায়ের’ অর্থাৎ ঈমানের সহিত মৃত্যুবরণ করার সৌভাগ্য দান করুন। (আমিন)


***ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন এবং সওয়াবেরে উদ্দেশ্যে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply