কেমন হবে হাউজে কাওছার? | history of hauje kausar | bangla hadis

কেমন হবে হাউজে কাওছার? | history of hauje kausar

islamic post

bangla hadis | islamic post

হযরত আনাছ রা.হতে বর্ণিত আছে যে, 

হযরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— আমি জান্নাতে ভ্রমণ করতেছিলাম, তখন হঠাৎ আমি নদীর পার্শ্বে গেলাম। ইহার দুই ধারে হরিদ্রা বর্ণযুক্ত মুক্তার গম্বুজ ছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে জিব্রাইল! ইহা কি? তিনি বললেন, ইহা হাউজে কাওছার, যাহা আপনার প্রভু আপনাকে দান করেছেন। তার একটি অত্যন্ত সুগন্ধিযুক্ত, মেশক নির্মিত । (বোখারী শরীফ) 


হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. হতে বর্ণিত আছে যে, 

হরযত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন— আদন হইতে আয়লা যতদূর (আদন দক্ষিণ ইয়েমেনের সমুদ্র বন্দর এবং আয়লা সিরিয়ার উত্তর সীমানায় অবস্থিত) তাহা হইতেও অধিক বিস্তৃত আমার হাউজ। ইহা বরফ হইতে অধিক সাদা, মধু হইতেও অধিক মিষ্টি এবং ইহার পাত্রের সংখ্যা আকাশের তারকা হইতে অধিক। 


যেরূপ একটি লোক মানবগণের উষ্ট্রগণকে তাহার প্রস্রবণে আসিতে দেয় না, তদ্রূপ আমি মানবগণকে ইহার নিকট আসিতে দিব না। তাহারা জিজ্ঞাসা করিল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি তখন আমাদিগকে চিনিতে পারিবেন? 

আরো পড়ুন>> এক গ্লাস দুধে শতাধিক লোকের ভোজন


তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, তোমাদের চিহ্ন থাকিবে। তাহা অন্যান্য জাতির থাকিবে না। তোমরা আমার নিকট ওজুর দরুন উজ্জ্বল কপোলমণ্ডলসহ পানি পান করিবার জন্য আসিবে। (মুসলিম শরীফ


হযরত ছহল বিন ছায়াদ রা. হইতে বর্ণিত আছে যে,

হযরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন- আমি তোমাদের পূর্বেই হাউজে যাইব। যে আমার নিকট দিয়া যাইবে, সে পানি পান করিবে এবং যে ইহার পানি পান করিবে সে কখনও আর তৃষ্ণার্ত হইবে না। যে সকল লোককে আমি চিনিতাম এবং যাহারা আমাকে চিনিত তাহারা সকলেই আমার নিকট পান করিতে আসিবে। কিন্তু আমার ও তাহাদের মধ্যে একটি প্রতিবন্ধক থাকিবে। আমি বলিব, তাহারা আমার দলভুক্ত। বলা হইবে, তুমি নিশ্চয়ই জান না, তোমার পরে ইহারা কি বিদায়াতে সৃষ্টি করিয়াছিল। আমি বলিব, দূর হও, ঐ সকল লোক যাহারা আমার পরে নব বিধান প্রবর্তন করিয়াছে। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)


হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে,

রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন— তোমাদের সম্মুখে আমার হাউজ অবস্থিত। ইহার দুই দিকের দূরত্ব জারবা ও আজরুজের দূরত্বের সমান। (জারবা এবং অজরুজ সিরিয়ার অন্তর্গত দুইটি স্থান। কেয়ামতের দিন ইহার মধ্যবর্তী স্থানে কাওছার ফোয়ারা স্থাপিত হইবে।) অন্য এক বর্ণনায় আছে, তন্মধ্যে পেয়ালা আকাশের তারকারাজির ন্যায় থাকিবে। যে তাহার নিকট আসিয়া ইহার পানি পান করিবে, সে ইহার পর আর কখনও তৃষ্ণার্ত হইবে না। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)

আরো পড়ুন>>  কীভাবে সৃষ্টি হল জমজম কূপ ?


হযরত আনাছ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে,

রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কেয়ামতের দিন আমার জন্য শাফায়াত করিতে অনুরোধ করিয়াছিলাম । তিনি বলিলেন, আমি সাফায়াত করিব। আমি বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! কোথায় আমি আপনার তালাস করিব? তিনি বলিলেন, যদি আমাকে তালাস কর তাহা হইলে সর্বপ্রথম পোলছেরাতের উপর আমাকে তালাস করিবে। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, যদি পোলছেরাতে আমি আপনাকে না পাই? তিনি বলিলেন, তাহা হইলে মিজানের নিকট আমাকে তালাস করিবে। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, যদি আমি মিজানের নিকটও আপনাকে না পাই? তিনি বলিলেন, তবে আমাকে হাওজের নিকট তালাস করিবে। আমি তিন স্থানের এক স্থানে অবশ্যই থাকিব । (তিরমিযী শরীফ)

আরো পড়ুন>> একবার পানে সারা জীবনের পিপাসা নিবারন


হযরত ছাওবা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে,

হযরত রাসূলে করীম সাহাযো বলিয়াছেন— আমার হাওজ আদন হইতে উম্মে বালকায়া পর্যন্ত বিস্তৃত হইবে, ইহার পানি দুগ্ধ হইতেও অধিক সাদা হইবে এবং মধু হইতেও অধিক মিষ্ট হইবে এবং ইহার স্তম্ভ আকাশে অসংখ্য তারকারাজি হইতেও অত্যাধিক হইবে। যে ইহার পানি একবার পান করিবে, সে কখনও তৃষ্ণার্ত হইবে না। প্রথমেই যে লোক ইহার নিকট পান করিতে আসিবে তাহারা হইবে মোহাজের দরিদ্রগণ। তাহাদের আলুলায়িত কেশ, অপরিষ্কার পরিচ্ছদ, সম্পদশালী স্ত্রীলোকগণের সহিত বিবাহে তাহারা অনুপযুক্ত এবং তাহাদের জন্য দেওয়াল উন্মুক্ত করা হয় নাই । (ইবনে মাজাহ ও তিরমিযী) 


***আল্লাহ আমাদের সকলকে হাউজে কাওছারের পানি পানের তৌফিক দিন***

***ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন এবং সওয়াবেরে উদ্দেশ্যে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।


Leave a Reply