জেনে নিন কখন কিয়ামত হবে ? | jenenin kakhon keyamot hobe? | islamic post

জেনে নিন কখন কিয়ামত হবে ? | jene nin kakhon keyamot hobe?hadis bangla

bangla hadis | islamic post 

কখন দুনিয়াতে কেয়ামত হবে?

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দুনিয়ার জঘন্যতম লোকদের উপর কিয়ামত অবতীর্ণ হবে। তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দুনিয়ায় আল্লাহ, আল্লাহ শব্দ উচ্চারিত হবে, ততক্ষণ কিয়ামত হবে না। তিনি আরও বলেন, কিয়ামত এমন লোকদের উপর আগমন করবে না যারা আল্লাহর নাম যিকির করে।

(মুসলিম শরীফ)


কেয়ামত সম্পর্কে একটি সুদীর্ঘ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে,

যেহেতু মুসলমানগণ বর্তমান থাকতে কিয়ামত অবতীর্ণ হবে না, কাজেই আকস্মিকভাবে আল্লাহ দুনিয়ায় এক শীতল বাতাস প্রবাহিত করবেন। এটা মুসলমানদের বগলে লেগে তাদের প্রত্যেকের মৃত্যু ঘটবে। কিন্তু জঘন্য বেঈমান লোকগুলো বেঁচে থাকবে। তাদের কোনো লজ্জা-শরম থাকবে না বরং অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে জনগণের সামনে স্ত্রী লোকদের সাথে ব্যভিচার করবে। (মিশকাত শরীফ)

আরো পড়ুন>> ইয়াজুজ মাজুজ সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন


কেয়ামত সম্পর্কে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দাজ্জালকে হত্যা করার পর হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম সাত বছর পৃথিবীতে রাজত্ব করবেন। এ সময় জনগণ এত সুখ-শান্তিতে বসবাস করবে যে, তাদের পরস্পরে সামান্যতম ঝগড়া-বিবাদ বা মনোমালিন্য পর্যন্ত থাকবে না। (এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর) আল্লাহর আদেশে শাম দেশের দিক থেকে শীতল বায়ু প্রবাহিত হবে। তা সমস্ত ঈমানদার লোকদের শরীরে লেগে তাদের প্রাণ বের হয়ে যাবে। যার অন্তরে সামান্যতম ঈমান আছে এমন একটি লোকও তখন জীবিত থাকবে না এ সময় যদি কোনো মুসলমান পাহাড়ের গুহায় গিয়ে আত্মগোপন করে তাহলে সেখানেও এ বাতাস পৌঁছে তার মৃত্যু ঘটবে।

আরো পড়ুন>> কে সেই ইমাম মাহদী?


এর পরে কেবল নিকৃষ্ট লোকগুলো দুনিয়ায় বেঁচে থেকে দিন-রাত অপকর্মে লিপ্ত থাকবে, হিংস্র পশুর মত তারা একে অন্যের উপর অত্যাচার করবে এবং নানান জঘন্য এবং অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকবে। ভাল-মন্দ বিচার করার মত তাদের সামান্য জ্ঞানও থাকবে না। তাদের এ অবস্থা দেখে ইবলিস মানুষের আকৃতিতে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে বলবে, বড়ই আক্ষেপের কথা। তোমাদের কি এতটুকু লজ্জাও নেই, তোমরা নিজেদের বাপ-দাদার ধর্ম-কর্ম ছেড়ে দিয়েছ।

আরো পড়ুন>> উহুদ যুদ্ধের ইতিহাস


তখন তারা বলবে, তাহলে তুমিই বলনা আমরা কি করব ? এবার শয়তান তাদেরকে মূর্তিপূজা এবং অন্যান্য শিরক ও কুফরী কর্ম-কাণ্ড পূর্ণমাত্রায় শিক্ষা দিবে, ফলে তারা পূর্বাপেক্ষাও জোরে-শোরে অন্যায় অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়বে। তাদের কোনো প্রকার অভাব-অভিযোগ থাকবে না বরং তারা ধন-দৌলত ও সুখ- সাচ্ছন্দের প্রাচুর্যের মধ্যে দিন অতিবাহিত করতে থাকবে। হঠাৎ আল্লাহর আদেশে হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম কর্তৃক সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। প্রত্যেকেই তা শুনতে পাবে। 


এ শব্দ শুনামাত্র আতঙ্কে তারা অস্থির এবং বিপন্ন হয়ে পড়বে। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সর্বপ্রথম উটকে পানি পান করানোরত একটি লোকের কানে ইসরাফীলের সিঙ্গার শব্দ পৌঁছবে এবং সে ভয়ঙ্কর শব্দ শুনে বেহুশ হয়ে পড়বে। একে একে সমস্ত লোক তখন বেহুশ হয়ে পড়বে। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা কুয়ামার ন্যায় মৃদু এক পশলা বৃষ্টিপাত ঘটাবেন। এতে (মাটিতে পরিণত) সকল মানুষ কবরের ভিতরে তাদের পূর্বেকার দেহপ্রাপ্ত হবে। তারপর আবার সিঙ্গায় ফুঁক দান করা হবে। এবার সমস্ত মাখলুক উঠে দাঁড়িয়ে যাবে। এসময় গায়েবী শব্দ হবে। 

আরো পড়ুন>> লোভের ভয়াবহ পরিনাম জানলে বিস্মিত হবেন


হে লোক সকল ! সকলেই আল্লাহর সামনে উপস্থিত হও। ফেরেশতাদের প্রতি আদেশ হবে তাদেরকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কর। আবার ফেরেশতাদের প্রতি আদেশ হবে, এদের মধ্য থেকে দোযখীদেরকে পৃথক কর। ফেরেশতাদের প্রতি আদেশ হবে, এদের মধ্য থেকে জান্নাতীদের পৃথক কর। ফেরেশতাগণ জিজ্ঞেস করবেন কত অংশ পৃথক করব? জবাব দেয়া হবে, প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন এ দিনটি এমন দিন-যার আতঙ্কে এবং ভয়ে বালকগণ বৃদ্ধে পরিণত হবে। (মুসলিম শরীফ)


***আল্লাহ আমাদের সকল কে হেদায়াত দান করুন। (আমিন)***


***ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন এবং সওয়াবেরে উদ্দেশ্যে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply