দুরুদের বরকতে মাছটি আগুনেও পোড়েনি | duruder borkote | islamic post

দুরুদের বরকতে মাছটি আগুনেও পোড়েনি | duruder borkote islamic post 

মাছ

মাছ আগুনে না পোড়ার আশ্চর্য ঘটনা

একবার নীলনদের বুকের উপর দিয়ে জনৈক সওদাগরের একখানি জাহাজ ব্যবসার উদ্দেশ্যে কোথাও যাইতেছিল। সেই জাহাজে অনেক জন লোক ছিল। লোকদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন যিনি প্রত্যহ দুরূদ শরীফ ওজীফা পাঠ করিতেন।

একদা তিনি নিজের প্রাত্যহিক নিয়মানুসারে দুরূদ শরীফ পাঠ করিতে লাগিলেন। এমন সময় হঠাৎ এক পর্যায়ে তিনি দেখিতে পাইলেন- নদীর একটি মাছ জাহাজের সাথে গা ঘেঁষিয়া চলিতেছে। তিনি যতক্ষণ দুরূদ শরীফ পাঠ করিলেন, মাছটি ততক্ষণ মনোযগ সহকারে উক্ত লোকটির দুরুদ পাঠ শুনিতে থাকিল।


তখন জেলেরা মাছ ধরার জন্য নদীতে বিভিন্ন জাল ফেলছিলো। ঘটনাক্রমে এক জেলে নদীতে জাল ফেলিলে ঐ মাছটি তাহার জালে ধরা পড়িল। জেলে ত খুব সহজেই বিশাল বড় মাছ পাইয়া মহাখুশী। সে উহাকে বাজারে বিক্রয় করার জন্য লইয়া গেল।


সেদিন ঘটনাক্রমে হযরত নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয় সাহাবায়ে কেরাম দের মধ্যথেকে কেউ একজন, হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) কিংবা হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) ভাল একটি মাছ কিনিবার উদ্দেশ্যে বাজারে আসিলেন।

আরো পড়ুন>> দুরুদের বরকতে মুক্তার জন্ম


দুরুদ পড়ার দ্বারা আগুন থেকে মুক্তি

তাঁহার ইচ্ছা— বড় রকমের মাছ পাওয়া গেলে উহা ক্রয় করিয়া নিয়া হযরত নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাওয়াত করিয়া খাওয়াইবেন। উক্ত জেলের ঐ বড় মাছটি দেখিয়া তাঁহার খুব পছন্দ হইল এবং তিনি উহা কিনিয়া নিজ বাড়ীতে লইয়া গেলেন। ঘরে পৌঁছিয়া তিনি তাহার বিবি সাহেবাকে বলিলেন- এই মাছটিকে মসলাদি দিয়া যত্নের সহিত ভাল রকম রান্না করিও; আজ ইন্‌শাআল্লাহ্ হযরত নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাওয়াত করিব।


স্বামীর ফরমাইশ অনুসারে বিবি সাহেবা মাছটির আঁইশ ছাড়াইয়া ভাল রকমে ধুইয়া পরিষ্কার করিয়া রান্না করার উদ্দেশ্যে উহাকে চুলায় উঠাইয়া দিলেন, কিন্তু আল্লাহ্ কুদরত! মাছের হাড়ি উঠাইয়া দেওয়া মাত্রই চুলার আগুন নিভিয়া গেল।

আরো পড়ুন>> এক পতিতা সুন্দরী রমণীর ঘটনা


আবার আগুন ধরানোর চেষ্টা করা হইল, কিন্তু আগুন জ্বলিল না। স্বামী-স্ত্রী উভয়ে মিলিতভাবে চেষ্টা করিয়াও চুলায় আগুন ধরাইতে পারিলেন না।


অনেকক্ষণ যাবত মাছটিকে রান্না করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাইয়া অবশেষে তাঁহারা বিস্মিত হইয়া হযরত নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এই বিষয়ে খবর পাঠাইলেন। খবর পাইয়া তিনি নিজে সেই বাড়িতে তশ্রীফ আনিলে তাঁহার নিকট সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করা হইল।

আরো পড়ুন>> ভিক্ষুকের দোয়ার পাওয়ার জানলে অবাক হবেন


তিনি তখন বলিলেন- দুনিয়ার আগুন তো দূরের কথা, দোযখের আগুনও এই মাছটিকে পোড়াইতে পারিবে না। কারণ, মাছটি নদীতে থাকা কালে সেই নদী পাড়ি দেওয়ার সময় এক ব্যক্তি জাহাজে বসিয়া ঐকান্তিক আগ্রহের সহিত দুরূদ শরীফ পড়িতেছিল আর মাছটি অত্যন্ত আগ্রহ এবং মনোযোগের সহিত তাহা শুনিতেছিল। সুতরাং দুনিয়ার আগুন কেন, দোযখের আগুনও ইহার জন্য হারাম হইয়া গিয়াছে!সোবহানাল্লাহ!


পানির একটি মাছ মনোযোগের সহিত অন্যের দুরূদ পাঠ শুনিয়াছিল, আর উহার বরকতে আগুন তাহার জন্য হারাম হইয়া গেল । আর আমরা আল্লাহ্র সমগ্র সৃষ্টির সেরা মানবজাতি, তদুপরি মুসলমান হইয়া যদি ভক্তি ও নিষ্ঠার সহিত দুরূদ পাঠ করি, তবে কি আমাদের জন্যও আগুন হারাম হইয়া যাইবে না?

আরো পড়ুন>> আল্লাহর সাথে ব্যবসা


নিশ্চয়ই হারাম হইয়া যাইবে- দুরূদ শরীফের বরকতে আমরা অবশ্যই পরকালের আযাব হইতে নাজাত পাইব ।


হযরত মাওলানা রুমী (রহঃ) মসৃনভী শরীফে বলেনঃ

هر که باشد عامل صلوا مدام + آتش دوزخ شد بروئے حرام

####হারকে বাশাদ আমেলে ছলুমোদাম, আতেশে দোজখ শুদ বরওয়ায় হারাম।


অর্থাৎ, যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে দুরূদ শরীফ পাঠ করিবে, তাহার জন্য দোযখের আগুন হারাম হইয়া যাইবে ।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا

বস্তুতঃ দুরূদ শরীফের ফযীলত ও মাহাত্ম্য বলিয়া শেষ করা যায় না; এবং ইহার মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অসীম বলিয়াই আল্লাহ্ তা’আলা কোরআন মজীদে হুকুম করিয়াছেনঃ ঈমানদারেরা! তোমরা নবীজীর নামে অধিক পরিমাণে দুরূদ ও সালাম পাঠাইতে থাক । (এই ঘটনাটি ‘খায়রুল মাওয়ানেস্ নামক কিতাবে বর্ণিত আছে।)

*** আল্লাহ আমাদের সকল কে বেশি বেশি দুরুদ পড়ার তৌফিক দিন। (আমিন) ***

*** ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন। সওয়াবের উদ্দেশ্যে বন্ধুদের নিকট ছড়িয়ে দিন।

Leave a Reply