দুরুদে ইব্রাহিম বাংলা উচ্চারণ | durude ibrahim | durud sharif
bangla hadis | islamic post
দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ | durude ibrahim | durud sharif
দুরুদে ইব্রাহীম বাংলা সহঃ
-اللهم صلي على محمد وعلى ال محمد كما صليت على ابراهيم وعلى ال ابراهيم انك حميد مجيد –
-اللهم بارك على محمد وعلى ال محمد كما باركت على ابراهيم وعلى ال ابراهيم انك حميد مجيد –
দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণঃ
****আল্লাহুম্মা ছল্লি‘আলা, মুহাম্মাদিও, ওয়ালা আলি মুহাম্মদ। কামা ছল্লাইতা, ‘আলা ইবরহীমা, ওয়া আলা ‘আলি ইবরহীম। ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
****আল্লাহুম্মা বারিক‘আলা, মুহাম্মাদিও, ওয়ালা আলি মুহাম্মদ। কামা বারকতা, ‘আলা ইবরহীমা, ওয়া আলা ‘আলি ইবরহীম। ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
বাংলা অর্থঃ
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সরদার মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পরিবার-পরিজনের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন। যেভাবে বর্ষণ করেছেন, ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম ও ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর পরিবার-পরিজনের উপর। আপনি নিশ্চয়ই প্রশংসিত ও সম্মানিত।
হে আল্লাহ আপনি বরকত নাযিল করুন আমাদের সর্দার হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পরিবার-পরিজনের প্রতি। যেভাবে আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম ও তার পরিবার-পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।
আরো পড়ুন>> সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম
দুরুদ পড়ার ফজিলতঃ
#) পবিত্র হাদীস শরীফে উল্লেখ্য আছে, যে মজলিসের মধ্যে লোক একত্রিত হলো অথচ উক্ত মজলিসে না আল্লাহ পাকের জিকির করলো, আর না নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরুদ ও সালাম পাঠালো, তবে তাদের এই মজলিস কেয়ামতের দিন তাদের জন্য (জিকির ও দরূদ না পড়ার কারণে) আক্ষেপ ও অনুতাপের কারণ হবে। যদিও তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আরো পড়ুন>> বনি ইসরাইলের অবাক করা আচরন
#) অন্য এক হাদীস শরীফে উল্লেখ্য আছে, হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন জুম্মার দিন আমার উপর বেশি পরিমাণে দুরুদ ও সালাম পাঠাও। কেননা জুমার দিন তোমাদের দরুদ ও সালাম আমার নিকট বিশেষভাবে পেশ করা হয়।
আরো পড়ুন>> আকাশ থেকে খাবার আসার ঘটনা
#) অন্য এক হাদীসে উল্লেখ্য আছে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তি আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে, যে ব্যক্তি আমার উপর বেশি পরিমাণে দুরুদ পাঠকারী হবে।
#) অন্য এক হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, প্রকৃত কৃপণ ওই ব্যক্তি, যার সামনে আমার নাম উচ্চারিত হলো অথচ সে আমার উপর দুরূদ পাঠালো না।
আরো পড়ুন>> লোভের ভয়াবহ পরিনাম জানলে বিস্মিত হবেন
#) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো এরশাদ করেন, ওই ব্যক্তি অপমানিত ও অপদস্ত হোক যার সামনে আমার আলোচনা করা হয়, অথচ সে আমার উপর দুরুদ পাঠ করল না।
#) অন্য এক হাদিসের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যার সম্মুখে আমার আলোচনা হবে তার উচিত সে যেন আমার উপর দরুদ পাঠায়। কারণ যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠাবে তার উপর মহান আল্লাহ পাক দশ টি রহমত নাযিল করবেন।
#) শায়খ আবু সুলাইমান দারনী রহমতুল্লাহি আলাই বলেন, যখন তোমরা মহান আল্লাহর নিকট নিজেদের প্রয়োজন পূরণের জন্য দোয়া করবে, তখন দোয়ার আগে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরুদ ও সালাম পাঠাও। এরপর যত ইচ্ছা দোয়া এবং পরিশেষে দরূদ পাঠাও। কারণ মহান প্রভু নিজ ওয়াদা অনুযায়ী নিজ অনুগ্রহে এ দরুদ শরীফ অবশ্যই কবুল করবেন এবং আল্লাহ পাকের দয়া ও করুণা পক্ষে এটি বড়ই অসম্ভব যে তিনি এর মাঝখানে দোয়া কে কবুল করবেন না।
#) হযরত আলী রাঃ বলেন, প্রত্যেক দোয়া আল্লাহ পাকের দরবারে পৌঁছাতে ওই সময় পর্যন্ত দেরি হয়, যতক্ষণ দোয়া করি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরূদ পাট না করে।
***আল্লাহ আমাদের কে বেশি বেশি দরূদ পাঠ করার তৌফিক দান করুনক। (আমিন)***
***ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন এবং সওয়াবেরে উদ্দেশ্যে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।