বেপর্দা মহিলার কবরের আজাব | Beporda Mohilar Koborer Ajab | islamic post

 বেপর্দা মহিলার কবরের আজাব | Beporda Mohilar Koborer Ajab

কবরের আজাব


islamic post 


মাওলানা আবদুর রউফ সখরভী “ছে গুনাহগার আওরাতেঁ” গ্রন্থে বর্ণনা করেন, আজাবে কবর সম্পর্কে আমার একটি ঘটনা মনে পড়েছে। ঘটনাটি “গিলগিট” অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছিল। জনৈক ব্যক্তি গোরস্থানের পাশ দিয়ে চলছিল। হঠাৎ কোন এক কবর থেকে সে এ আওয়াজ শুনতে পেল, “আমাকে বের করো আমি জীবিত”।


যখন দুই একবার শুনল তখন ধারণা করলো এটা তার অনুমান বা কল্পনা মাত্র, বাস্তুব কোন আওয়াজ নয়। কিন্তু যখন অনবরত শুনতে পেল, তখন তার বিশ্বাস হলো। সুতরাং সে লোকটি নিকটতম একটি বস্তিতে এসে লোকদেরকে এ আওয়াজের কথা শুনিয়ে বলল, তোমরাও এসে সে আওয়াজ শুন।


কিছু লোক তার সাথে এসে এ আওয়াজ শুনলে তাদেরও বিশ্বাস হল এ আওয়াজ কবর থেকেই আসছে। এখন তারা ভাবলো যে, কবর খনন করা জায়েজ হবে কিনা? তাই তারা নিকটতম মসজিদের ইমাম সাহেব এর কাছে গিয়ে ঘটনা বর্ণনা করে এ ব্যাপারে মাসআলা জানতে চাইলো।  

আরো পড়ুন- কেন আমরা পর্দা করব?


বেপর্দা মহিলার কবরের আজাব | Beporda Mohilar Koborer Ajab |  islamic post –

ইমাম সাহেব বললেন, যদি তোমাদের একীন হয়, কবরস্থ ব্যক্তি জীবিত, তাহলে কবরটি খোলতে পার। তারা সাহস করে কবরস্থানে গিয়ে তার কবর খোলে দেখে, সেখানে এক বিবস্ত্র নারী বসা। তার কাফনের কাপড় পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। মহিলা বলল, আমার ঘর থেকে জলদি কাপড় নিয়ে আস। তারা জলদি এসে তার কাপড় নিয়ে গেল।


মহিলাটি কাপড় পরিধান করে দ্রুত গতিতে দৌড়ে এসে নিজ গৃহের এক কামরায় প্রবেশ করে ভেতর থেকে শিকল লাগিয়ে দিল। গোরস্থানে উপস্থিত লোকেরা তার পিছে পিছে এসে ভেতর থেকে কামরা বন্ধ পেয়ে দরজায় করাঘাত করল।


ভেতর থেকে আওয়াজ আসল, দরজা খুলে দেব তবে ভেতরে আসতে পারবে একমাত্র ঐ লোক যে আমাকে দেখে সইতে পারবে। সাহসী লোক ছাড়া কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।


অতঃপর সে মহিলা দরজা খুলে দিল আর সাহসী দুই চারজন জন ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পেল, মহিলাটি একটি চাদর পেঁচিয়ে আছে। তারা ভিতরে গেলে সে প্রথমে তার মাথার কাপড় সরিয়ে দিলে তারা দেখল যে, তার মাথায় চুল চামড়া কিছুই নেই। খালী খুলি, হাড় আর হাড়, তারা জিজ্ঞেস করলো, তোমার চুল কোথায়?


সে বলল, আমি দুনিয়াতে নগ্ন মাথায় ঘর থেকে বের হতাম। মৃত্যুর পর ফেরেস্তারা একটি একটি করে চুল উঠিয়ে ফেলেছে। যার সাথে চামড়াও উঠে গেছে। তাই মাথায় চুল নেই চামড়াও নেই।


অতঃপর সে মহিলা তার মুখের কাপড় সরিয়ে দিলে তারা তার মুখকে এত ভয়ানক দেখতে পেল যে, শুধু দাঁতগুলো, এ ছাড়া আর কিছুই নেই। ওপরের নীচের কোন ঠোঁট নেই শুধু বত্রিশটি দাঁত। তারা জিজ্ঞেস করলো, তোমার ঠোঁটের কি হলো?


সে বলল, আমি লিপিষ্টিক লাগিয়ে বেগানা পুরুষদের সামনে যেতাম তাই সে পাপের শাস্তি স্বরূপ আমার ঠোঁট কেটে ফেলা হয়েছে।

অতঃপর সে মহিলা তার হাত-পা খুলে দেখাল লোকেরা দেখল, তার হাত পায়ের একটি নখও নেই । জিজ্ঞেস করা হলো তোমার নখের কি হয়েছে? উত্তর দিল নখ পালিশ লাগানোর শাস্তিস্বরূপ একটি একটি করে আমার নখগুলি উঠিয়ে ফেলা হয়েছে।

আরো পড়ুন- হযরত আলীর হত্যাকারীর শাস্তি


এতটুকু বলার পর সে বেহুশ হয়ে পড়ে গেল। লোকেরা তাকে নাড়া দিয়ে দেখল যে, সে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে আবারো গোরস্থানে নিয়ে সমাধিস্থ করা হলো। শিক্ষা গ্রহণের জন্য এই মহিলাকে কিছুক্ষনের জন্য জীবিত করা হয়েছিল। বেপর্দা মহিলাদের জন্য এ ঘটনা বড়ই শিক্ষনীয়। আল্লাহ সবাইকে শিক্ষা গ্রহণের তাওফিক দান করুন।


*** ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন। সওয়াবের উদ্দেশ্যে বন্ধুদের নিকট ছড়িয়ে দিন।

Leave a Reply