যাদের উপর হজ ফরজ | Hajj Faraj Hoyar Shorto | হজ ও ওমরা
হজ ফরয হওয়ার শর্তসমূহ-
আল্লাহ তাআলা মানবজাতির প্রতি হজকে ফরয করেছেন শর্তসাপেক্ষে।
শর্ত হচ্ছে,
ক) মুসলমান হওয়া,
খ) সাবালক হওয়া,
গ) সুস্থ হওয়া, স্বাধীন হওয়া,
ঘ) ও বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য থাকা।
সামর্থ্যের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হাতে সাংসারিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত এ পরিমাণ অর্থ থাকতে হবে, যা দ্বারা সে কা’বাগৃহ পর্যন্ত যাতায়াত ও সেখানে অবস্থানের ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম হয়।
এ ছাড়া গৃহে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণেরও ব্যবস্থা থাকতে হবে।
মহিলার জন্য এসব কিছুর সাথে সাথে মারাম পুরুষ সঙ্গে থাকতে হবে।
রাস্তা নিরাপদ হতে হবে। অর্থাৎ, জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির প্রবল আশংকা না থাকতে হবে।
এসব সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি হজ করা থেকে বিরত থাকবে, তার ব্যাপারে শরীয়তের পক্ষ থেকে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন:
مَنْ مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةٌ تُبَلِّغُهُ إِلَى بَيْتِ اللهِ وَلَمْ يَحُجَّ فَلَا عَلَيْهِ أَنْ يَبُوْتَ يَهُودِيًّا وَلَا
نَصْرَانِيًّا (سنن الترمذى الحج/ ماجاء فى التغليظ في ترك الحج, ١٦/١, رقم:٨١٢)
“পথের খরচ ও বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছবার মত বাহন থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি হজ না করে তার ইয়াহুদী বা নাসারা (খ্রিস্টান) হয়ে মরা বড় কথা নয়।”
অর্থাৎ, এমন ব্যক্তির ঈমানের উপর মৃত্যুর সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
আরো পড়ুন >> হজ্জের ফরজ কয়টি ও কী কী?
আরো পড়ুন >> হজ্জের ওয়াজিব কয়টি ও কী কী?
আরো পড়ুন >> হজ্জের সুন্নাত কয়টি ও কী কী?
আল্লাহ আমাদের সকলকে হজ্জ ও ওমরা করার তৌফিক দান করুন।
*** ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন। সওয়াবের উদ্দেশ্যে বন্ধুদের নিকট ছড়িয়ে দিন।