জান্নাত পাওয়া ৪টি কাজ | jannat paoyar 4ti amol
জান্নাত পাওয়া ৪টি কাজ | jannat paoyar 4ti amol
হযরত আবু হামজা রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত:
আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু এর সাথে উঠাবসা করতাম। তিনি আমাকে তার নিজস্ব বিছানায় বসাতেন।
একদিন তিনি বললেন:
তুমি আমার কাছে থেকে যাও, আমি আমার সম্পদে তোমাকে অংশীদার বানিয়ে নিব। আমি দুই মাস পর্যন্ত তার নিকট থাকলাম।
অতঃপর (হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু) বললেন:
আব্দে কায়েসের প্রতিনিধিদল রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে পৌছলে রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (জিজ্ঞাসা করে) বললেন: ইহারা কারা বা তারা কোন প্রতিনিধিদল?
আরো পড়ুন>> দরুদে তুনাজ্জিনা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
তারা (আব্দে কায়েসের প্রতিনিধিদল) বলল: রাবিয়া গোত্রের লোক।
রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে এই বলে স্বাগতম জানালেন: এই কাওমকে মারহাবা। (তোমরা যেহেতু সন্তুষ্টচিত্তে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করতে এসেছ, সুতরাং) তোমাদের জন্য (দুনিয়াতেও) কোন লাঞ্চনা নেই এবং (আখেরাতেও) কোন অনুশোচনা নেই।
আরো পড়ুন>> কবরের আযাব থেকে বাচাঁর উপায়
তারা বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমাদের ও আপনার মাঝে মুজার গোত্রের মুশরিকগণ বসবাস করে, সেহেতু যে সব মাসে আরবের লোকরা যুদ্ধ করা হারাম মনে করে, আমরা শুধু সেসব মাসেই আপনার নিকট আসতে পারবো ( এবং আপনার নিকট থেকে দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারব)।
অতএব ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনি আমাদেরকে সংক্ষিপ্তভাবে এমন কিছু বলে দিন: যার উপর আমল করে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি, এবং আমাদের মধ্যে যারা অনুপস্হিত আাছে তাদেরকে দাওয়াত দিতে পারি। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাত্র সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করল।
আরো পড়ুন>> হযরত উসমান রা. এর ব্যবসা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আমি তোমাদেরকে চারটি বিষয়ে আদেশ করছি এবং চারটি বিষয়ে নিষেধ করছি।
যে চারটি বিষয়ে আদেশ করছি, তাহলো এই:
(প্রথমত তোমরা) এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে।
তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন: তোমরা কি জান, এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার কি অর্থ?
তারা (রাবিয়া গোত্রের লোকজন) উত্তরে বলল: এই ব্যপারে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই ভাল জানেন।
আরো পড়ুন>> উমর রা. এর ইসলাম গ্রহণ
অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন:
এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতিত (ইবাদাতের উপযোক্ত অন্য) কোন মা’বুদ নেই আর হযরত মুহাম্মদ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর (প্রেরিত) রাসূল।
(ক) নামাজ কায়েম করবে।
(খ) (মাল থাকলে অর্থাৎ নেছাব পরিমান মালের মালিক হলে) যাকাত আদায় করবে।
(গ) রমজান মাসে রোযা রাখবে।
(ঘ) আর গনীমতের মালের পঞ্চমাংশ (আল্লাহ ও রাসূলে সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট) প্রদান করবে।
আর যে চারটি বিষয় হতে নিষেধ করেছেন, তা এই যে:
চারটি পাত্রে নাবীয (খেজুর ভিজানো পানি বা শরবত) প্রস্তুত করোনা-
(ক) লাউয়ের খোল,
(খ) খেজুর গাছর গুড়ি দ্বারা তৈরী পাত্র।
(গ) তৈলের প্রলেপযুক্ত চীনামাটির ঘড়া।
(ঘ) আলকাতরার প্রলেপযুক্ত ঘড়া। (এই সব পাত্রে শরাব প্রস্তুত করা হত বলে তাতে নাবীয তৈরী করতে নিষেধ করেছিলেন)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছিলেন: এই কয়েকটি কথা ভালভাবে স্বরণ রেখ এবং তোমাদের গোত্রের যারা অনুপস্হিত তাদের নিকট পৌছে দিও । (বুখারী -৫৩)
***আল্লাহ আমাদের সকল কে উক্ত হাদিসের উপর আমল করার তৌফিক দান করুন। (আমিন)***
***ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন এবং সওয়াবেরে উদ্দেশ্যে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।