কোরআনে বর্ণিত আদম নবীর ইতিহাস | history of adam | islamic post

Islamic History

কোরআনে বর্ণিত আদম নবীর ইতিহাস | history of adam | islamic post

যখন আপনার পালনকর্তা ফেরেশতাদেরকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি,  তখন ফেরেশতাগণ বলল, আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে ? অথচ আমরা প্রতিনিয়ত আপনার গুণ কীর্তন করছি এবং আপনার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি । তিনি বললেন নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জানো না। (সূরা বাক্বারা, আয়াত- ৩০)

 

 

আল্লাহ তাআলা হযরত আদম আ. কে সমস্ত বস্তু সামগ্রীর নাম শিখালেন। তারপর সে সমস্ত বস্তু সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। অতঃপর বললেন আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্য হয়ে থাকো। (সূরা বাক্বারা, আয়াত-31)

 

 

তারা বলল, আপনি পবিত্র। আমরা কোন কিছুই জানিনা,  তবে আপনি যা আমাদেরকে শিখিয়েছেন (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয়ই আপনি প্রকৃত জ্ঞান সম্পন্ন, হেকমতওয়ালা। (সূরা বাক্বারা, আয়াত- ৩২)

 

 

তিনি বললেন, হে আদম, ফেরেস্তাদেরকে এসবের নাম বলে দাও। অতঃপর যখন তিনি সব কিছুর নাম বলে দিলেন। তখন আল্লাহ বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি! যে, আমার আসমান ও জমিনের যাবতীয় গোপন বিষয় সম্পর্কে খুব ভালো করেই অবগত রয়েছে।  এবং সেসব বিষয়েও জানিয়ে যা তোমরা প্রকাশ করো, এবং যা তোমরা গোপন করো।  (সূরা বাক্বারা, আয়াত- ৩৩)

 
 
আদম আ. কে ফেরেস্তাদের সেজদা 

এবং যখন আমি হযরত আদম আলাই সাল্লাম কে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাদেরকে নির্দেশ দিলাম। তখনই ইবলিশ ব্যতীত সবাই সিজদা করলো। সে (ইবলিশ) নির্দেশ পালন করতে অস্বীকার করল এবং অহংকার প্রদর্শন করল।  ফলে সে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। (সূরা বাক্বারা, আয়াত- ৩৪)

 

 

স্মরণ করো, যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম হযরত আদম আ. কে সেজদা করো, তখন ইবলিশ ব্যতীত সবাই সেজদায় পড়ে গেল। কিন্তু সে বলল- আমি কি এমন ব্যক্তিকে সেজদা করব ! যাকে আপনি মাটির দ্বারা সৃষ্টি করেছেন? (সূরা বানীি ইসরাঈল, আয়াত- 61)

 

 

যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম আদম আ. কে সেজদা করো, তখন ইবলীশ ব্যাতীত সবাই সেজদা করল। সে ছিল জ্বীনদেরে একজন।  সে তার পালনকর্তার আদেশ অমান্য করল। অতঃএব তোমরা কি আমার পরিবর্তে তাকে এবং তার বংশধরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করছো? অথচ তারা তোমাদের শত্রু। এটা জালেমদের জন্য খুবই নিকৃষ্ট বদল। (সূরা কাহ্ফ, আয়াত- ৫০)

 

 

যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম তোমরা আদমকে সেজদা করো, তখন ইবলিশ ব্যতীত সবাই সেজদা করলো। সে অমান্য করল। (সূরা ত্বহা, আয়াত- 116)

 
 

অতঃপর আমি বললাম, হে আদম। এ (ইবলিশ) তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু সুতরাং সে যেনজান্নাত থেকে তোমাদের বের করে না দেয়। তাহলে তোমরা কষ্ট পতিত হবে। (সূরা ত্বহা, আয়াত- 117)

হযরত আ. এর জান্নাতে বসবাস

হে আদম তুমি এবং তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করো। অতঃপর সেখান থেকে যা ইচ্ছা খাও। তবে এই বৃক্ষের কাছে যেও না। তাহলে তোমরা গুনাগার হবে। (সূরা আ’রাফ, আয়াত- 19)

 

তোমাকে এই দেয়া হল যে, তুমি এতে ক্ষুধার্ত ও বস্ত্রহীন হবে না।এবং তোমার পিপাসাও হবে না ও রৌদ্রে কষ্ট পাবে না।  (সূরা ত্বহা, আয়াত- 118-119)

হযরত আদম আ. কে শয়তানের প্রতারণা 

অতঃপর শয়তান উভয়কে প্ররোচিত করলো। যাতে তাদের অঙ্গ, যা তাদের কাছে গোপন ছিল, তাদের সামনে প্রকাশ করে দেয়। সে বলল তোমাদের পালন করতে তোমাদেরকে এই বৃক্ষ থেকে নিষেধ করেনি! তবে তা এ কারণে যে, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও,  কিংবা চিরকাল বসবাসকারী হয়ে যাও। সে তাদের কাছে কসম খেয়ে বলল আমি অবশ্যই তোমাদের হিতাকাঙ্খী। (সূরা আ’রাফ, আয়াত- ২০-21)

 

অনন্তর শয়তান তাদের উভয়কে ওখান থেকে পদস্থলিত করেছিল। পরে তারা যে সুখ স্বাচ্ছন্দে ছিল তা থেকে তাদের বের করে দিল এবং আমি বললাম, তোমরা নেমে যাও। তোমরা পরস্পর একে অপরের শত্রু হবে এবং তোমাদেরকে সেখানে কিছু কাল অবস্থান করতে হবে ও নেক সংগ্রহ করতে হবে। (সূরা বাক্বারা, আয়াত- ৩৬)

***ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক, ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন এবং সওয়াবেরে উদ্দেশ্যে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।

2 Comments

Leave a Reply