কোরআন পড়ার ফজিলত | quran porar fajilat | bangla hadis

কোরআন

bangla hadis | islamic post 

কোরআন পড়ার ফজিলত | quran porar fajilat | bangla hadis

 

কোরআন তেলাওয়াত করার  সম্পর্কে অনেক ফজিলতের  বর্ণনা কোরআন ও হাদীসে রয়েছে। সেগুলো থেকে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো-

 

কোরআনের বানী-

যে সকল মানুষ পবিত্র কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করতে জানেনা, তাদের অবস্থার কথা বর্ণনা করে পবিত্র কোরআনে ঘোষণা হয়েছে “যার অন্তরে কোরআনের কোন অংশ নেই সে ব্যক্তি বিরান (জন মানবহীন) ঘরের মতো” অর্থাৎ যে ব্যক্তি কোরআন শিক্ষা করেনি বা পড়তে জানে না, সে অনুপযুক্ত লোক সুতরাং তার জীবনের কোন মূল্য নেই।

 

হাদিসের বানী-

১। ***  ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ননা করেন – তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যে নিজে কোরআন মাজিদ শিক্ষা করেছে এবং অপরকেও শিক্ষা দিয়েছে। (সহীহ্ বুখারী)

 

 

২। ***  আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন, পবিত্র কোরআনের মর্যাদায় অনেক মানুষ মর্যাদার উচ্চ আসনে আরোহন করবে। আর কোরআন শরীফের অমর্যাদার কারণে অধিকাংশ মানুষ নিকৃষ্টতম পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। (সহীহ্ মুসলিম)

 

 

৩। *** রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এক হাদীসে বর্ণিত আছে। নফল ইবাদত সমূহের মধ্যে কোরআন  মাজীদ তেলাওয়াতের সওয়াব সবচেয়ে বেশি। সুতরাং তোমরা সর্বদা পবিত্র কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করবে।  কেননা হাশরের মাঠে কোরআন তার পাঠকের জন্য মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবেন। (তিরমিজি)

 

 

৪। *** রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষর পাঠ করবে সে দশটি নেকি পাবে। আমি বলি না যে আলিফ – লাম – মিম একটি অক্ষর, বরং আলিফ একটি অক্ষর লাম একটি অক্ষর এবং মিম একটি অক্ষর। সুতরাং এই তিনটি অক্ষর পাঠ করলে সৃষ্টি নাকি পাবে। (আল-হাদিস)

 

 

 

৫। *** আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেন। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন। মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য তোমরা ঐ জিনিস হতে মূল্যবান আর কোন জিনিস পাবে না। যা স্বয়ং আল্লাহ তাআলার পবিত্র জবান হতে বের হয়েছে তথা আল কুরআন। (আল-হাদিস)

 
 

৬। *** অন্য এক  হাদিসে উল্লেখ্য আছে । যে ব্যক্তি কোরআন মাজীদ পাঠ করে এবং তা অনুযায়ী আমল করে। কিয়ামতের দিন (উপহার স্বরূপ) তার পিতা-মাতাকে সূর্যের আলো অপেক্ষা উজ্জ্বল টুপি পরিধান করানো হবে। (আল-হাদিস)

 

 

 ৭। *** এক হাদিসে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন। মানুষের মৃত্যুর পর যখন তাকে কবরে দাফন করা হবে, তখন মুনকার-নাকির প্রশ্ন করার সময় মৃত্যু ব্যাক্তীর  পক্ষ হতে একজন যুবক বলবে, আমি তাকে একাকি ছেড়ে যেতে পারি না। কেননা দুনিয়াতে থাকাকালীন এই ব্যক্তি কোরআনে কারীম তেলাওয়াত করেছিল।  

আরো পড়ুন>> আয়াতুল কুরসী বাংলা উচ্চারণ সহ

 

এখন আমি তার ওই পবিত্র কোরআন সুতরাং আপনাদের প্রশ্ন আপনারা করতে পারেন । কিন্তু আমার এই বন্ধুকে বেহেস্তে না পৌঁছানো পর্যন্ত তার নিকট হতে বিদায় নিতে পারবো না। 

আরো পড়ুন>> সমুদ্রের অজানা রহস্য

 

আমি আপনার দুনিয়াতে তেলাওয়াত করা ঐ কোরআন, যা আপনি কখনো উচ্চস্বরে,কখনো নিম্নস্বরে পাঠ করতেন। 

আরো পড়ুন>> কেন আমরা পর্দা করব? 

 

এখন আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, মুনকার-নাকিরের প্রশ্নের জন্য আপনার কোন ভয় নেই, ফিরিশতাদের প্রশ্নের পর তাকে বেহেস্তের পোশাক ও বিছানা দান করা হবে। যার সাথে দুনিয়ার কোন কিছুর তুলনা করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। মহান বর আমাদের সকলকেই কোরআন মাজীদ পাঠের উত্তম নেয়ামত সমূহ অর্জন করার তৌফিক দান করুক। (আমিন)  

আরো পড়ুন>> তাওবা করার উপকারিতা

 

সংক্ষিপ্ত নসিহত

আলোচনা হতে বুঝা গেল যে, কোরআন মাজীদ পাঠ করলে আল্লাহ এবং রাসূলের প্রিয় পাত্র হওয়া যায়। যে কোরআনের প্রতিটি হরফ পাঠে ১০ টি করে নেকি পাওয়া যায়। যে কোরআন শিক্ষা এবং আমলের ফলে পিতা-মাতাকে নূরের টুপি দান করা হবে। কবর, হাশর ও মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে ইহকালীন জীবনে, শান্তি ও পরকালীন জীবনে, মুক্তি লাভ করা যাবে। সাধ্য থাকতে কখনো সেই কোরআন পাকে অবহেলা করা সঠিক নয়। 

 

তাই সকলের উচিত, সময় থাকতে কোরআন মাজীদ সহি শুদ্ধভাবে পাঠের অভ্যাস করে নিজের জীবনকে সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে সাজানোর চেষ্টা করা।

 

*** আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি কোরআন পড়াক তৌফিক দিন। ***

 

***ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন এবং সওয়াবেরে উদ্দেশ্যে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।***

 

Leave a Reply