তাকবিরে তাশরীক সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন | Takbire Tasrik
তাকবীরে তাশরীক কখন পড়তে হয় | তাকবীরে তাশরীক পড়ার নিয়ম
যিলহজ মাসের ১০-১২ তারিখ কুরবানীর আমল যেমন ওয়াজিব তেমনি তাকবীরে তাশরীক অর্থাৎ, যিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত প্রত্যেক ফরয নামাযের সালাম ফিরানোর পর পুরুষদের জন্য উচ্চস্বরে এবং মহিলাদের জন্য নিম্নস্বরে একবার তাকবীরে তাশরীক পড়া ওয়াজিব। এই দিন গুলোকে আইয়ামে তাশরীক কাকে বলে।
তাকবীরে তাশরীক আরবি
اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
তাকবীরে তাশরীক বাংলা
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাললাহু ওয়াল্লাহু আকবার , আল্লাহ আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
তাকবীরে তাশরীক ভূলেগেলে করনিয়
তাকবীরে তাশরীক ভুলে গেলে তাওবা ও ইস্তেগফার পড়তে হবে।
তাকবীরে তাশরীকের ইতিহাস
এই তাকবীরে তাশরীক আল্লাহর তিনজন সম্মানিত ও নৈকট্যপ্রাপ্ত নবী, রাসূল ও ফেরেশতার মুখনিঃসৃত বাণী। হযরত ইবরাহীম আ. যখন সজোরে সুতীক্ষ্ণ ছুরি হযরত ইসমা’ঈল আ.-এর গলায় চালানো শুরু করলেন, এমন সময় হযরত জিবরাঈল আ. আসমান থেকে দুম্বা নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে এ ভয়াবহ দৃশ্য দেখে বলে উঠলেন اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ হযরত ইবরাহীম আ. যখন আসমানী কুরবানী দেখলেন, তখন তিনি বলে উঠলেন لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ এদিকে হযরত ইসমা’ঈল আ. যখন ঘটনা উপলব্ধি করতে পারলেন তখন তিনি বলে উঠলেন: اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
তাকবীরে তাশরীক থেকে আমাদের শিক্ষা
অর্থাৎ, এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা দেয়া হলো যে, বিপদে-আপদে, আনন্দে ও খুশীতে সর্বাবস্থায় আল্লাহ’র বড়ত্ব বর্ণনা করা আর নিজের সবকিছুকে আল্লাহ’র নিকট সোপর্দ করা উচিত। আর এটিই কুরবানীর মূলকথা। ইরশাদ হচ্ছে:
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ
“নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ সবই রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির জন্য।” (সূরা আন’আম: ১৬২)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাঁর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্য কুরবানী করার তাওফীক দান করুন । আমীন!
আরো পড়ুন >> কুরবানীর নির্দিষ্ট দিন সমূহ
*** ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন। সওয়াবের উদ্দেশ্যে বন্ধুদের নিকট ছড়িয়ে দিন।
Daily Visit – https://rihulislam.com/