ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত | Itikaf er gurutto o fajilat | Bangla Hadis

ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত | Itikaf er gurutto o fajilat | Bangla Hadis

tikaf er gurutto o fajilat


ই’তিকাফ

লাইলাতুল কদর এর মত এহেন সম্মানিত-মহিমান্বিত ও বরকতময় রাত পাওয়ার জন্য প্রত্যেক মুসলমানেরই প্রবল চেষ্ট করা উচিত। আর এর সর্বোত্তম পন্থা হলো ই’তিকাফ। ‘ই’তিকাফ’ এর শাব্দিক অর্থ কোন স্থানে অবস্থান করা। শরীয়তের পরিভাষায়: যে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামা’আতের সাথে নিয়মিত আদায় করা হয়; এমন মসজিদে আল্লাহ’র ইবাদতের উদ্দেশ্যে নিয়ত সহকারে অবস্থান করাকে ‘ই’তিকাফ’ বলে।

ইতিকাফ তিন প্রকার:

১. ওয়াজিব ইতিকাফ।

২. সুন্নতে মুআক্কাদা কিফায়া ইতিকাফ।

৩. মুস্তাহাব বা নফল ই’তিকাফ।


ওয়াজিব ই‘তিফাক: এটা হচ্ছে, মান্নতের ই’তিকাফ। কেউ মান্নত করলো, আমার অমুক কাজটা সমাধা হয়ে গেলে দশদিন বা বিশদিন ই’তিকাফ করবো। তখন উক্ত উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়ে গেলে তাকে নির্দিষ্ট দিনগুলির ই’তিকাফ অবশ্যই করতে হবে। কেননা, তা তখন তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়। মান্নতের ই’তিকাফের জন্য রোযা শর্ত। অর্থাৎ, রোযা না রেখে ওয়াজিব ই’তেকাফ করা যায় না।


সুন্নতে মুআক্কাদা কিফায়া: রমাযানের শেষ দশ দিন অর্থাৎ, ২১ রমাযানের সূর্য ডোবার আগ মুহূর্ত থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ উঠা পর্যন্ত মসজিদে ইতিকাফ করা সুন্নতে মুআক্কাদা কিফায়া। গ্রাম বা মহল্লাবাসীর পক্ষে কোন এক বা একাধিক ব্যক্তি এই ই’তিকাফ করলে সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে। অন্যথায় গ্রাম বা মহল্লাবাসী সকলেই সুন্নতে মুআক্কাদা পরিত্যাগকারী হিসেবে গুনাহগার হবে।


মুস্তাহাব বা নফল ই’তিকাফ: এর জন্য কোন দিন বা সময়ের পরিমাপ নেই এবং রোযাও শর্ত নয়। অল্প সল্প সময়ের জন্যও তা হতে পারে। এজন্যে যে কোন সময় মসজিদে প্রবেশের সময় আমরা যদি ই’তিকাফের নিয়ত করি তা হলে মসজিদে অবস্থানকালীন নামায, যিকির তিলাওয়াত যাই করি, তার সওয়াব তো পাবোই সাথে সাথে নিয়াতের কারণে ই’তিকাফের সওয়াবও পাবো।


এতেকাফের ফজিলত

রাসূলুল্লাহ সা.-এর চিরাচরিত অভ্যাস ছিল রমাযানের শেষ দশকে ই’তিকাফ করার। তাই উলামায়ে কেরাম রমাযানের শেষ দশকে ই’তিকাফ করাকে সুন্নতে মুআক্কাদা বলেছেন।

আর এর ফযীলত সম্পর্কে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি রমাযানের শেষ দশদিন ই’তিকাফ করবে সে দু’টি হজ ও দু’টি ‘উম্রাহর সওয়াব লাভ করবে এবং চল্লিশ দিন পর্যন্ত ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত পাহারাদারী সওয়াব লাভ করবে।

আর যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন পর্যন্ত ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা পাহারা দেয়, আল্লাহ তাআলা তাকে গুনাহ থেকে এভাবে পবিত্র করে দেন যেমন সদ্য ভূমিষ্ট নবজাত শিশু। ই’তিকাফকারীও যদি ইখলাসের সাথে সহীহ নিয়তে ‘ই’তিকাফ করে, ইবাদত-বন্দেগী তাওবা-ইস্তেগফার করে, তা হলে আল্লাহ তাকে ঐ রকম নিষ্পাপ করে দেন।

আরো পড়ুন>> সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম 

এই ই’তিকাফও আমাদের সামনে আসছে। আমরা যারা পারি, তারা পরিপূর্ণ দশদিন ই’তিকাফের নিয়াতে মসজিদে চলে আসি। আর যারা তা না পারি, তারা কমপক্ষে বেজোড় রাতগুলো মসজিদে এসে ইবাদতে কাটাবার চেষ্টা করি। মসজিদের দুয়ার সকলের জন্য উন্মুক্ত। আল্লাহ’র রহমতের দরজাও আপনার জন্য খুলে যাবে। ইনশাআল্লাহ! আল্লাহ আমাদের সহায় হোন! (আমীন)


*** ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন। সওয়াবের উদ্দেশ্যে বন্ধুদের নিকট ছড়িয়ে দিন।

Leave a Reply