জমজম কূপের ইতিহাস | zamzam water | bangla hadis

জমজম কূপের ইতিহাস | zamzam water | bangla hadis 

জমজম কূপ

bangla hadis | islamic post

কীভাবে সৃষ্টি হল জমজম কূপ ? | bangla hadis | islamic post –


হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,

নারী জাতি সর্বপ্রথম ইসমাঈল আ. এর মাতা (হাজেরা) থেকেই কোমরবন্ধ বানানো শিখেছে। হাজেরা সারা থেকে আপন নিদর্শন ঢেকে রাখার উদ্দেশ্যেই কোমরবন্ধ লাগাতেন।


অতঃপর ইবরাহীম আ. ইসমাঈলের মা ও তাঁর দুগ্ধপোষ্য শিশুকে (ইসমাঈলকে) নিয়ে বের হলেন। পথে তিনি (হাজেরা) তাকে (ইসমাঈলকে) দুধ পান করাতেন। তাঁদেরকে তিনি একটি বিরাট গাছের নিচে, কাবা ঘরের নিকটে মসজিদের উচ্চ ভূমিতে যমযমের স্থানে রাখলেন। সে সময় মক্কায় কোন জনবসতি কিংবা পানির ব্যবস্থা ছিল না। আর তাঁদের পাশে এক ঝুড়ি খেজুর ও এক মশক পানি রাখলেন।


অতঃপর ইবরাহীম আ. সেখান থেকে ফিরে চললেন।  ইসমাঈলের মা তার পিছু পিছু যাচ্ছিলেন এবং ডেকে ডেকে বলছিলেন, হে ইবরাহীম! আপনি আমাদেরকে এই জনপ্ৰাণীহীন উপত্যকায় রেখে কোথায় যাচ্ছেন? এখানে না আছে কোন সাহায্যকারী না আছে (পানাহারের) কোন ব্যবস্থা। তিনি বারবার একথা বলতে থাকলেন। কিন্তু ইরাহীম (আ) তাঁর কথায় কর্ণপাত করলেন না। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ কি আপনাকে এটা করার হুকুম দিয়েছেন? ইবরাহীম (আ) বললেন : হাঁ। তখন হাজেরা বললেন, তবে আল্লাহ আমাদের ধ্বংস করবেন না।


অতঃপর তিনি ফিরে আসলেন। ইবরাহীম আলাইহিস সালাম (পিছন দিকে না তাকিয়ে) বিদায় হলেন। তিনি তাঁদের দৃষ্টি সীমার বাইরে ‘সানিয়াহ’ নামক স্থানে পৌঁছে কাবা ঘরের দিকে মুখ ফিরালেন এবং দুই হাত তুলে দু’আ করলেন : “হে আমাদের রব! তোমার পবিত্র ঘরের নিকট এমন এক উপত্যকায় আমার সন্তান ও পরিজনের বসতি স্থাপন করে যাচ্ছি যা কৃষির অনুপযোগী। উদ্দেশ্য তারা নামায কায়েম করবে। অতএব তুমি লোকদের অন্তরকে এদের প্রতি অনুরক্ত করে দাও, ফলমূল থেকে এদেরকে খাবার দান কর, যেন তারা কৃতজ্ঞ ও শোকরকারী বান্দাহ হতে পারে।” (সূরা ইবরাহীম : ৩৭)

আরো পড়ুন>> কেয়ামত কখন হবে ?


ইসমাঈলের মা ইসমাঈলকে বুকের দুধ খাওয়াতেন আর তিনি মশকের পানি পান করতেন। শেষে যখন পাত্রের পানি ফুরিয়ে গেল, তখন তিনি এবং তার সন্তান তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়লেন। তিনি দেখলেন তাঁর দুগ্ধপোষ্য শিশু পিপাসা ছটফট করছে। তিনি তা সহ্য করতে না পেরে উঠে চলে গেলেন। সেখানে সাফা পাহাড়কে তিনি তার সবচেয়ে নিকটে দেখতে পেলেন । তিনি সাফা পাহাড়ে উঠে চারদিকে তাকালেন। উপত্যকার দিকে এই আশায় তাকালেন যে, কারো দেখা পাওয়া যায় কি না, কিন্তু কারো দেখা পেলেন না। তাই তিনি সাফা পাহাড় থেকে নিম্ন উপত্যকায় নেমে আসলেন এবং নিজের কামিসের একদিক তুলে একজন ক্লান্ত-শ্রান্ত মানুষের ন্যায় দৌড়ে চললেন।


অবশেষে উপত্যকা পেরিয়ে মারওয়া পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছে তাতে আরোহণ করলেন। পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে তিনি এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখলেন কারো দেখা মিলে কি না, কিন্তু কারো দেখা মিলল না। এমনিভাবে তিনি দুই পাহাড়ের মাঝখানে সাতটি চক্কর দিলেন।


আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণনা করেন,

নবী করীম (সা) বলেছেন : এ কারণেই লোকেরা (হজ্জের সময়) উভয় পাহাড়ের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি সাঈ করে থাকে। ইসমাঈলের মা (যখন শেষবারের মত) দৌড়ে মারওয়া পাহাড়ে উঠলেন তখন একটা আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি নিজেকে নিজে প্রশ্ন করে বললেন, কি ব্যাপার কিসের আওয়াজ শুনতে পেলাম? এরপর তিনি শব্দের প্রতি কান খাড়া করলেন। তিনি আবার শব্দ শুনতে পেলেন এবং মনে মনে বললেন : তুমি আমাকে আওয়াজ শুনালে। হয়তো তোমার কাছে আমার বিপদের কোন প্রতিকার আছে। হঠাৎ তিনি (বর্তমান) যমযমের কাছে একজন ফেরেশতাকে দেখতে পেলেন।

আরো পড়ুন>> হযরত আলীর হত্যাকারীর শাস্তি


যেভাবে তৈরী হল জমজম কূপ:

ফেরেশতা তার পায়ের গোড়ালি দিয়ে অথবা (রাবী) বলেছেন তার ডানা দিয়ে মাটি খুঁড়লে পানি উপচে বের হল। তিনি এর চারপার্শে বাঁধ দিলেন এবং অঞ্জলি ভরে মশকে পানি ভরতে লাগলেন। তিনি তো মশকে পানি ভরছিলেন এদিকে পানি উপচে পড়তে থাকল । অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি মশক ভরে পানি রাখলেন।


ইবনুল আব্বাস (রা) বর্ণনা করেন,

নবী করীম (সা) বলেছেন : ইসমাঈলের মায়ের উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। যদি তিনি যমযমকে ঐ অবস্থায় রেখে দিতেন, অথবা তা থেকে যদি মশক ভরে পানি না রাখতেন তবে যমযম একটি প্রবহমান ঝর্ণায় পরিণত হত। নবী করীম (সা) বলেনঃ তিনি পানি পান করলেন এবং তাঁর সন্তানকে দুধ পান করালেন। ফেরেশতা তাকে বললেন, আপনি বরবাদ হয়ে যাওয়ার আশংকা করবেন না। কেননা এখানে স্থান নির্দিষ্ট আছে, যা এই ছেলে ও তার পিতা নির্মাণ করবেন। আল্লাহ এখানকার অধিবাসীদের ধ্বংস করেন না।

আরো পড়ুন>> ইসলাম সম্পর্কে অজানা কিছু প্রশ্নের উত্তর


এ সময়ে বাইতুল্লাহর স্থানটি উঁচু টিলার মত ছিল । বন্যা আসলে তা এর ডান ও বাম দিক দিয়ে প্রবাহিত হত। মা ও সন্তানের কিছু কাল এভাবে কেটে যাওয়ার পর ঘটনাক্রমে বানু জুরহুমের কাফিলা অথবা বানু জুরহুম গোত্রের লোক ‘কাদা’ নামক স্থানের পথ ধরে আসছিল। তারা মক্কার নিম্নভূমিতে এসে পৌঁছলে সেখানে কিছু পাখি বৃত্তাকারে উড়তে দেখে বলল, এসব পাখি নিশ্চয়ই পানির উপর বৃত্তাকারে উড়ছে। আমরা তো এই মরুভূমিতে এসেছি অনেক দিন হল। কিন্তু কোথাও কোন পানি দেখিনি। তারা এক বা দু’জন অনুসন্ধনাকারীকে খোঁজ নেয়ার জন্য পাঠালো । তারা গিয়ে পানি দেখতে পেল এবং ফিরে এসে তাদেরকে পানির সুসংবাদ দিল ।


কাফিলার লোকেরা কালবিলম্ব না করে পানির দিকে চলে আসল। ইসমাঈলের মা তখন পানির কাছে বসা ছিলেন। তারা এসে তাকে বলল, আপনি কি আমাদেরকে এখানে অবস্থান করার অনুমতি দেবেন? তিনি বললেন, হাঁ। কিন্তু পানির উপর তোমাদের কোন মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে না। তারা বলল, ঠিক আছে, তাই হবে।


আবদুল্লাহ ইবনুস আব্বাস (রা) বর্ণনা করেন,

নবী করীম (সা) বলেছেন : ইসমাঈলের মায়ের উদ্দেশ্য ছিল তাদের সাথে পরিচিত হয়ে একটা অন্তরংগ ও সহানুভূতি সম্পন্ন পরিবেশ গড়ে তোলা। এ সকল লোক এসে এখানে বসতি স্থাপন করল এবং কাফিলার অন্যান্য লোক ও তাদের পরিবার পরিজনদেরকে ডেকে আনল । অবশেষে সেখানে যখন বেশ কয়েক ঘর বসতি গড়ে উঠলো, ইসমাঈল ও যৌবনে পদার্পণ করলেন এবং তাদের নিকট থেকে আরবী ভাষা শিখে নিলেন। তার স্বাস্থ্য-চেহারা ও সুরুচিপূর্ণ জীবন তারা খুবই পছন্দ করল । তিনি বড় হলে ঐ কাফিলার লোকেরা তাদের এক মেয়ের সাথে তাঁর বিবাহ দিলেন।

আরো পড়ুন>> কোরআনে বর্ণিত আদ জাতির ঘটনা


ইতিমধ্যে ইসমাঈলের মা ইন্তিকাল করলেন। ইসমাঈলের বিবাহের পর ইবরাহীম আ. তাঁর পরিত্যক্ত পরিজনকে দেখার জন্য (মক্কায়) আসলেন। তিনি ইসমাঈলকে বাড়িতে পেলেন না। তিনি পুত্রবধুর কাছে জিজ্ঞেস করলেন, ইসমাঈল কোথায়? সে বলল, খাদ্যের সন্ধানে বাইরে গেছেন।


অন্য বর্ণনায় আছেঃ তিনি শিকারে বের হয়েছেন। ইবরাহীম (আ) তাদের জীবনযাত্রা। ও সাংসারিক বিষয়াদি সম্পর্কে জানতে চাইলেন। ইসমাঈলের স্ত্রী বলল, আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি। কষ্ট-কঠোরতা ও সংকীর্ণতা আমাদেরকে ঘিরে রেখেছে। এসব কথা বলে সে অভিযোগ তুলে ধরল।


তিনি বলেন: তোমার স্বামী আসলে তাকে আমার সালাম জানাবে এবং বলবে, সে যেন তার ঘরের দরজার চৌকাঠ পরিবর্তন করে ফেলে। বাড়ি ফিরে এসে ইসমাঈল (আ) যেন কিছু ঠাহর করতে পারলেন। তিনি স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, কেউ এসেছিলেন কি? স্ত্রী বলল, হাঁ, এরূপ একজন বৃদ্ধ এসেছিলেন। তিনি আপনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে আমি তাঁকে অবহিত করলাম। আমাদের জীবনযাত্রা কিভাবে চলছে তিনি তাও জানতে চাইলেন। আমি তাঁকে জানালাম যে, আমরা খুব কায় ক্লেশের মধ্যে দিনাতিপাত করছি।


ইসমাঈল (আ) জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কি তোমাকে কোন কথা বলে গেছেন? স্ত্রী বলল, হাঁ! তিনি আপনাকে সালাম পৌঁছাতে বলেছেন এবং আপনাকে ঘরের দরজার চৌকাঠ পরিবর্তন করতে বলেছেন। ইসমাঈল (আ) বললেন, তিনি আমার পিতা। তিনি তোমাকে পরিত্যাগ করতে আমাকে আদেশ দিয়েছেন । সুতরাং তুমি তোমার পরিবার-পরিজনের কাছে চলে যাও। পরে তিনি তাকে তালাক দিলেন এবং ঐ গোত্রেরই অন্য এক মেয়েকে বিবাহ করলেন।


আল্লাহর ইচ্ছামত ইবরাহীম (আ) অনেক দিন আর এদিকে আসেননি এবং পরে তিনি আবার যখন আসলেন তখনও ইসমাঈলের সাথে তার দেখা হল না। পুত্রবধূর কাছে গিয়ে ইসমাঈলের কথা জিজ্ঞেস করলে সে বলল, তিনি খাদ্যের সন্ধানে বাইরে গেছেন। তিনি তাদের পারিবারিক ও অন্যান্য বিষয়ও জানতে চাইলেন। ইসমাঈলের স্ত্রী বললো, আমরা খুব ভালো আছি এবং সচ্চল অবস্থায় দিনযাপন করছি। একথা বলে সে মহান আল্লাহর প্রশংসা করল।

আরো পড়ুন>> আয়াতুল কুরসী বাংলা উচ্চারণ সহ


ইবরাহীম (আ) জিজ্ঞেস করলেন : তোমরা কি খাও? পুত্রবধু বলল, গোশ্ত । তিনি জিজ্ঞেস করলেন : কি পান কর? সে বলল, পানি। তখন ইবরাহীম (আ) দু’আ করলেন : হে আল্লাহ! এদের জন্য গোশত ও পানিতে বরকত দিন।


নবী করীম (সা) বলেন : সে সময় তাদের কাছে কোন খাদ্যশস্য ছিল না (অর্থাৎ উৎপাদন হতো না)। যদি থাকত তাহলে ইবরাহীম (আ) তাদের জন্য খাদ্যশস্যেও বরকতের দু’আ করতেন। এজন্যই মক্কা ছাড়া অন্য কোথাও শুধু গোশত আর পানির উপর নির্ভর করে কেউ জীবন ধারণ করতে পারে না। তবে কারো রুচি বা শারীরিক অবস্থার অনুকূল না হলে ভিন্ন কথা।


অন্য এক বর্ণনায় আছে :

তিনি এসে জিজ্ঞেস করলেন : ইসমাঈল কোথায়? তার স্ত্রী বলল, তিনি শিকারে বেরিয়েছেন। আপনি আসুন, কিছু পানাহার করুন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের খাদ্য-পানীয়ের ব্যবস্থা কি? পুত্রবধূ বলল, আমরা গোশত খাই এবং পানি পান করি । তিনি বললেন : হে আল্লাহ! তাদের খাদ্য-পানিতে বরকত দিন।


আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণনা করেন,

আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ইবরাহীম (আ) এর দু’আর বরকতেই মক্কাবাসীদের খাদ্য-পানীয়তে বরকত হয়েছে। ইবরাহীম (আ) বললেন : তোমার স্বামী ফিরে আসলেই তাকে আমার সালাম জানাবে এবং বলবে, সে যেন তাঁর ঘরের ঃ চৌকাঠ হিফাযাত করে।


ইসমাঈল (আ) ফিরে এসে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কাছে কেউ কি এসেছিল? স্ত্রী বলল, হাঁ! আমার কাছে জনৈক সুন্দর সুঠাম বৃদ্ধ এসেছিলেন। স্ত্রী বৃদ্ধের কিছু প্রশংসাও করল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে আমাদের জীবিকা ও ভরণপোষণ চলছে? আমি বললাম, আমরা বেশ ভালো আছি। ইসমাঈল (আ) জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কি তোমাকে কোন উপদেশ দিয়েছেন? স্ত্রী বলল হাঁ! তিনি আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং ঘরের চৌকাঠ হিফাযাত করার হুকুম দিয়ে গেছেন। সব কথা শুনে ইসমাঈল (আ) বললেন, তিনি আমার পিতা আর তুমি ঘরের চৌকাঠ। তিনি আমাকে তোমার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখার নির্দেশ দিয়ে গেছেন।

আরো পড়ুন>> এক পতিতা সুন্দরী রমণীর ঘটনা 


হযরত ইবরাহীম (আ) আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক দিন পর্যন্ত আর আসেননি। একদা ইসমাঈল যমযম কূপের পাশের একটি বিরাট বৃক্ষের নিচে বসে তাঁর তীর ঠিক করছিলেন। এমন সময় হযরত ইবরাহীম (আ) আসলেন। ইসমাঈল পিতাকে দেখে এগিয়ে গেলেন। অতঃপর যেভাবে পিতা পুত্রের সাথে এবং পুত্র পিতার সাথে কুশল বিনিময় করে, তাঁরাও তাই করলেন।


তিনি বললেন: হে ইসমাঈল! আল্লাহ আমাকে একটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন। ইসমাঈল বললেন, আপনার প্রভু আপনাকে যে কাজের হুকুম করেছেন তা পালন করুন। তিনি বললেন, তুমি আমাকে এ কাজে সাহায্য কর। পুত্র বললেন, আমি আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করব।


ইবরাহীম (আ) বললেন, আল্লাহ আমাকে এখানে একখানা ঘর নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একথা বলে তিনি একটি উঁচু টিলার দিকে ইশারা করে বললেন, এর চারদিকে ঘর নির্মাণ করতে হবে।


অতঃপর তাঁরা এই ঘরের ভিত্তি স্থাপন করলেন। ইসমাঈল পাথর বয়ে আনতেন, আর ইবরাহীম তা দিয়ে গাথুনি দিতেন। চতুর্দিকের দেয়াল অনেকটা উঁচু হয়ে গেলে ইবরাহীম (আ) এই পাথরটি এনে (মাকামে ইবরাহীম) এর উপর দাঁড়িয়ে দেয়াল গাঁথতে থাকলেন আর ইসমাঈল (আ) পাথর বয়ে এনে দিতে থাকলেন। বাপ-বেটা দুজনে ঘর নির্মাণ করার সময় দুআ করতে থাকলেন : “হে আমাদের প্রভু! আমাদের এই প্রচেষ্টা ও পরিশ্রম কবুল করুন। আপনি সব কিছু শুনেন এবং জানেন।” (সূরা আল বাকারা : ১২৭)

ইমাম বুখারী উক্ত হাদীসটি কয়েকভাবে বর্ণনা করেছেন।


*** আল্লাহ আমাদের সকলকে হজ্জ্বে বাইতুল্লাহ নছিব করুন। (আমিন)***

*** ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন। সওয়াবের উদ্দেশ্যে বন্ধুদের নিকট ছড়িয়ে দিন।

Leave a Reply