জীবনের শেষ সময়ে রাসূলের নামাজ | jiboner ses somoye rasul | islamic post

 জীবনের শেষ সময়ে রাসূলের নামাজ | jiboner ses somoye rasul

ইসলামিক পোস্ট

bangla hadis | islamic post 

জীবনের শেষ সময়ে রাসূলের নামাজ | bangla hadis | islamic post –

উবায়দুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, 

একবার আমি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা (রা)-এর কাছে গিয়ে বসলাম। জিজ্ঞেস করলাম আপনি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসুস্থতা সম্পর্কে আমাকে কিছু বলবেন? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই বলব। হযরত আয়েশা (রা) তখন বললেন, রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসুস্থতা যখন বেশী বেড়ে গেল, তখন তিনি আমাদেরকে বললেন। লোকেরা কি নামায পড়েছে আমরা বললাম না, বরং তারা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। তখন রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বললেন তোমরা আমার জন্য এক মেখযাব ভর্তি পানি নিয়ে আস। আমরা পানি নিয়ে আসলাম।


অতঃপর রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসল করলেন এবং মসজিদে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলেন কিন্তু অত্যধিক জ্বরের কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি পুনরায় আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন মসজিদের লোকজন নামায পড়েছে কিনা? উত্তরে আমরা বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারা আপনার অপেক্ষায় বসে আছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন। তোমরা একটা মেখযাবে আমার জন্য পানি নিয়ে আস। হযরত আয়েশা (রা) বললেন, আমরা তাই করলাম।

আরো পড়ুন>> হালাল খাবারের ফায়দা 


অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসল সেরে মসজিদে যাওয়ার জন্য আবার চেষ্টা করলে পুনরায় অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। এভাবে তিনি তিন বার অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। চতুর্থবার তিনি জ্ঞান ফিরে পেয়ে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, মসজিদের লোক সকল নামায পড়েছে কিনা? আমরা উত্তরে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তারা তো আপনার জন্যেই মসজিদে অপেক্ষা করছে। সাহাবায়েকেরাম এ দিকে রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালমার এর কাছে লোক পাঠালেন এবং বললেন, তিনি যেন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করেন। 

আরো পড়ুন>> বেপর্দা মহিলার কবরের আজাব 


অতঃপর হযরত বেলাল (রা) হযরত আবু বকর (রা)-এর কাছে এসে বললেন, রাসূলুল্লাহ আপনাকে আদেশ করেছেন, লোকদেরকে নিয়ে আপনি যেন নামায পড়েন। হযরত আবু বকর (রা) খুব নরম স্বভাবের লোক ছিলেন তিনি হযরত ওমর (রা)-কে লক্ষ্য করে বললেন, হে ওমর (রা) আপনি লোকদেরকে নিয়ে নামায আদায় করুন। হযরত ওমর (রা) তাকে বললেন, আপনি এ কাজের জন্য সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত ব্যক্তি। অতঃপর হযরত আবু বকর (রা) ইমামতি করলেন। যে কয়দিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে উপস্থি হতে অক্ষম ছিলেন। 


অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেকে একটু সুস্থ মনে করলেন। তাই তিনি দু’ব্যক্তির কাঁধে ভর করে যোহরের নামাযের জন্য হুযরা মোবারক থেকে মসজিদে যাওয়ার জন্য বের হলেন । যাদের কাঁধে ভর দিয়ে বের হয়েছিলেন তাদের একজন ছিলেন হযরত আব্বাস (রা) অন্যজন হযরত আলী (রা) ঐ সময় হযরত আবু বকর (রা) লোকদেরকে নিয়ে নামায আদায় করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঐ সময় আবু বকর (রা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখতে পেয়ে পিছনের দিকে সরে যেতে চাইলে রাসূলুল্লাহ বললেন, তিনি যেন পিছনের দিকে না সরে যান। রাসূলুল্লাহ হযরত আব্বাস ও আলী ২ ইশারা করে তাঁকে (রা)-কে বললেন, তোমরা আমাকে হযরত আবু বকর (রা)-এর পাশে নিয়ে বসাও। অতঃপর তারা রাসূলেপাক কে হযরত আবু বকর (রা)-এর পাশে বসালেন।

 

অতঃপর হযরত আবু বকর (রা) নামায পড়াতে আরম্ভ করলেন। এমন অবস্থায় আবু বকর রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামাযের ইকতেদা করছিলেন। আর লোকেরা হযরত আবু বকর রা. এর ইকতেদা করছিলেন। ঐ সময় হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসা অবস্থায় ছিলেন। (বোখারী শরীফ-৪১১)


***আল্লাহ আমাদের সকলকে নিয়মিত নামায আদায় করার তৌফিক দান করুন। (আমিন)***

***ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন এবং সওয়াবেরে উদ্দেশ্যে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply