বিসমিল্লাহ বদলে দিবে আপনার জীবন | bismillahir rahmanir rahim | islamic post

বিসমিল্লাহ বদলে দিবে আপনার জীবন | bismillahir rahmanir rahim 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

islamic post | islamic history

বিসমিল্লাহ বদলে দিবে আপনার জীবন | bismillahir rahmanir rahim | islamic post

একদা একজন আল্লাহওয়ালা নেক লোক কোন এক  মজলিসে “বিসমিল্লাহ্” শরীফ এর ফজিলত বয়ান করতেছিলেন। সেই মজলিসে ঘটনা ক্রমে কোন এক ইহুদি কন্যা উপস্থিত ছিলেন। বিসমিল্লাহ শরীফ এর যাবতীয় গুনাবলি ও ফজিলত এর কথা শুনে তার অন্তর অত্যন্ত প্রভাবান্বিত হলো,  ইহুদি কন্যার মনের উপর আল্লাহ্ ওয়ালা ব্যাক্তির  বয়ানের খুবই তাসিল হলো এবং সে ঐ মজলিসে তৎক্ষণাৎ বিলম্ব না করে  দ্বীন ইসলাম কবুল করলো। 



এর পর হতে সেই মেয়েটি সব সময় “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” এর অজিফা পাঠ করতে লাগলো। বসতে-উঠতে, চলতে-ফিরতে, অবসরে-ব্যস্ততায়, মোটকথা সকল কাজে এবং সকল সময় সে ”বিসমিল্লাহ্” শরীফ তার জবানে আওড়াতে লাগলো।


তার ইহুদি পিতা, নিজ কন্যার এই অবস্থা দেখে মেয়ের উপর খুব নারাজ হয়। আদরের  কন্যার মুখে “বিসমিল্লাহ” জিকির এর পরিমান দিন দিন বাড়তে লাগলো। বিভিন্ন সময় নানার প্রকার শাসন-বারন ও নির্যাতনের পরও নিজ কন্যাকে বিসমিল্লার জিকির হইতে বিরত রাখা যাচ্ছিল না।


অবশেষে তার ইহুদী পিতা নিজের মেয়েকে বিসমিল্লাহর জিকির থেকে বিরত রাখতে না পেরে মনে মনে স্থির করলো, সে ইহুদী তার কণ্যাকে যেকোন উপায়ে একটি জঘন্য অপবাদ দিয়ে, উহার দায়ে তার নিজ কন্যাকে মেরে ফেলবে।


অন্যথায় আপন কন্যার এই ধর্মান্তরের খবর  আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতিবর্গ ও সমাজের লোক জনের মাঝে জানা জানি  হলে, পিতাকে লজ্জার সম্মুখীন হতে হবে। 


মেয়েটির বাবা ছিল তৎকালীর বাদশার উজির। বাদশার সীল-মোহর করার আংটি তার কাছেই থাকতো। একদিন সেই ইহুদী পিতা তার ঐ সীল-মোহরটি  কন্যার হাতে সোপর্দ করল এবং বলল এটা তোমার হেফাজতে রাখো।

আরো পড়ুন>> রাসূলের প্রতি সাহাবীদের অনুসরণ


তখন মেয়েটি “বিসমিল্লাহ” বলে উহা হাতে নিল, আবার “বিসমিল্লাহ” বলে তা নিজ জামার পকেটে পুরে রাখলো।

আরো পড়ুন>> কোরআন পড়ার ফজিলত 


অতঃপর তার ইহুদি পিতা রাত্রি কালে কন্যার ঘুমন্ত অবস্থায়, নিজ মেয়ের জামার পকেট হতে গোপনে তা বাহির করে নিয়ে পার্শ্ববর্তী নদীতে ফেলে দেয়। ( পিতার ধারণা ছিলঃ পরদিন তার মেয়ের নিকট ঐ সীল-মোহর চাইলে সে যখন তা ফেরত দিতে পারবে না বা অক্ষম হবে, তখন রাজকীয় সীল-মোহর হারানোর অপরাধে তার মৃত্যুদণ্ড হবে।)  


কিন্তু, “রাখে আল্লাহ, মারে কে?” 

পরদিন সকালে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে গেলে, এক জেলের জালে বড় একটি মাছ ধরা পরল, সে ওই মাছটি বাদশার উজির কে অর্থাৎ কন্যার পিতা কে উপহার দিল।


উজির মাছটি তার বাড়িতে নিয়ে এসে মেয়ের হাতে দিয়ে উহা ভালো করে রান্না করতে বলল। মেয়েটি তার স্বভাব অনুযায়ী “বিসমিল্লাহ” বলে ইহুদী বাবার নিয়ে আসা মাছটি হাতে নিল।


অতঃপর সে মাছটি কে কাটতে আরম্ভ করলো। মেয়ে টি যখন মাছটির পেট কাটতে আরম্ভ করল, তখন সে দেখতে পেল, বাদশার সীল-মোহর  করার ঐ আংটি টি মাছের পেট থেকে বের হয়ে আসছে ( যা তার পকেট হতে গতরাতে তার পিতা তাকে বিপদে ফেলার উদ্দেশ্যে গোপনে নিয়ে গিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছিল ) মেয়েটি তা দেখে অভাক হয়ে যায়। 


অতঃপর সে বিসমিল্লাহ বলে মাছের পেট থেকে তা বাহির করল এবং পুনরায় “বিসমিল্লাহ্” বলে নিজ পকেটে রেখে দিল। তারপর মেয়েটি মাছ রান্না করে যথা সময় তার পিতার সামনে হাজির করল।



মেয়েটির ইহুদী বাবা, নিজ কণ্যার হাতে রান্না করা মজাদার খাবার খাওয়া-দাওয়ার শেষ করে রাজ দরবারে যাওয়ার সময় হলে, পিতা মেয়ের নিকট ওই আংটি টি চাইল। (যা সে গতরাতে নদীতে ফেলে দিয়েছিল) কন্যা তৎক্ষণাৎ “বিসমিল্লাহ” বলিয়া নিজের পকেট থেকে উহা বের করে দিল। এই ঘটনা দেখে তার পিতা স্তম্ভিত হয়ে গেল। 



কিছু কথাঃ

বিসমিল্লাহ্ শরীফের মাহত্ম্য এতই অসীম যে, যা লিখে শেষ করা অসম্ভব। পবিত্র কোরআন এবং হাদিসে বিসমিল্লাহ্ শরীফের অনেক ফজিলতের কথা উল্লেখ্য করা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ্ তা নিয়ে অন্য দিন কিছু লিখবো।


***আল্লাহ আমাদের কে বিসমিল্লার দান করুনক। (আমিন)***


***ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন এবং সওয়াবেরে উদ্দেশ্যে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।


Leave a Reply