হাশরের ময়দানে সবচে ক্ষমতাশীল ব্যক্তি | hasorer moydane nobijir safawat | bangla hadis

হাশরের ময়দানে সবচে ক্ষমতাশীল ব্যক্তি | hasorer moydane nobijir safawat

ইসলামিক পোস্ট

bangla hadis | islamic post


হাশরের ময়দানে সবচে ক্ষমতাশীল ব্যক্তি | bangla hadis | islamic post –

হযরত আনাছ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে,

রাসূলে করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন— মোমেনগণকে কেয়ামতের দিন অপেক্ষা করান হইবে, এমনকি তজ্জন্য তাহারা বিব্রত হইয়া পড়িবে। তাহারা বলিবে, যদি আমাদের প্রভুর নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করা হইত, আমরা আমাদের স্থানে আরাম বোধ করিতাম।


তারপর তাহারা হযরত আদম আ.-এর নিকট আসিয়া বলিবে- আপনি মানবগণের পিতা। আল্লাহ আপনাকে তাঁহার হস্ত দ্বারা সৃষ্টি করিয়াছেন এবং আপনাকে তাঁহার জান্নাতে বসবাসের স্থান দিয়াছেন। তাঁহার ফেরেশতাগণ আপনাকে সেজদা দিয়াছে এবং তিনি আপনাকে সমস্ত বিষয়ের নাম শিখাইয়াছেন। সুতরাং আপনি আমাদের জন্য শাফায়াত করুন- যে পর্যন্ত আমাদের স্থানে আমরা আরাম বোধ না করি। তিনি বলিবেন- আমি তোমাদের জন্য এখানে অবস্থান করিতেছি না! তিনি তাহার কথা উল্লেখ করিবেন, যাহা তাহাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি (বৃক্ষের ফল) উপভোগ করিয়াছিলেন। তোমরা নূহের নিকট যাও। আল্লাহ তায়ালা তাহাকেই প্রথম নবী করিয়া পাঠাইয়াছেন।

আরো পড়ুন>> রাসূল সা. এর স্বপ্নের বর্ণনা


সুতরাং তাহারা হযরত নূহ আ.-এর নিকট আসিয়া বলিবে এবং তিনি বলিবেন- আমি এখানে তোমাদের জন্য নহি। তিনি তাহার ঐ কথা স্মরণ করিবেন, যাহা না জানিয়া তিনি আল্লাহকে প্রশ্ন করিয়াছিলেন। তোমরা আল্লাহর বন্ধু ইব্রাহীমের নিকট যাও।


সুতরাং তাহারা ইব্রাহীম আ.-এর নিকট আসিবে। তিনি বলিবেন- আমি তোমাদের জন্য এখানে আসি নাই। (তিনি তিনটি ভুল কথা স্মরণ করিবেন। তোমরা মূসা (আঃ)-এর নিকট যাও আল্লাহ তাহাকে তাওরাত দিয়াছেন।


তখন তাহারা মূসা আ.-এ নিকট আসিবে। তিনি বলিবেন- আমি এখানে তোমাদের জন্য আসি নাই। (তিনি তাহার ঐ কথা স্মরণ করিবেন। যাহা তিনি একটি লোককে হত্যা করার দরুন হইয়াছিল । তোমরা আল্লাহর বান্দা, তাঁহার রাসূল, তাঁহার রূহ ও তাঁহার কালেমার নিকট যাও।

আরো পড়ুন>> এক গ্লাস দুধে শতাধিক লোকের ভোজন


সুতরাং তাহার হযরত ঈসা (আঃ)-এর নিকট আসিবে । তিনি বলিবেন, আমি এখানে তোমাদের জন্য আসি নাই। তোমরা হযরত মোহাম্মদ সাহারা-এর নিকট যাও। তিনি সম্পূর্ণ নিষ্পাপ হেতু সকলের জন্য শাফায়াত করিবেন। আল্লাহ তাহাকে পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ মাফ করিয়া দিয়াছেন।


তারপর তাঁহার নিকট আসিবে। আমি আমার প্রভুর ঘরে যাইবার জন্য অনুমতি চাহিব এবং তজ্জন্য আমাকে অনুমতি দেওয়া হইবে। যখন আমি তাঁহাকে দেখি সেজদায় পড়িয়া যাইব। তিনি যতক্ষণ ইচ্ছা আমাকে ত্যাগ করিয়া থাকিবেন। তারপর তিনি বলিবেন, হে মোহাম্মদ! উঠ এবং বল, তোমার কথা শুনা হইবে এবং শাফায়াত কর, ইহা গ্রহণ করা হইবে।

আরো পড়ুন>> সাপ দ্বারা রাসূল সা. কে সাহায্য


তারপর আমি আমার মস্তক উত্তোলন করিব এবং আমার প্রভুর এমন প্রশংসাবাদ করিব যাহা তিনি আমাকে শিক্ষা দিয়াছিলেন। তারপর আমি শাফায়াত করিব, কিন্তু তাহার সীমা নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া হইবে। আমি তখন বাহির হইয়া আসিয়া তাহাদিগকে দোযখ হইতে বাহির করিয়া আনিব এবং জান্নাতে লইয়া যাইব।


তারপর আমি দ্বিতীয়বার আসিয়া আমার প্রভুর নিকট নৈকট্য লাভের জন্য অনুমতি চাহিব। তখন আমাকে অনুমতি দেওয়া হইবে। যখন আমি তাঁহাকে দেখিব, আমি সেজদায় পড়িয়া যাইব এবং তিনি যতক্ষণ ইচ্ছা আমাকে এই অবস্থায় রাখিবেন। তারপর তিনি বলিবেন, হে মোহাম্মদ! উঠ এবং বল, তোমার কথা শুনা হইবে।


তারপর আমি আমার মস্তক উত্তোলন করিয়া আমার প্রভুর এমন প্রশংসা করিব যাহা তিনি আমাকে শিক্ষা দিয়াছিলেন। তারপর আমি শাফায়াত করিব। কিন্তু সংখ্যা নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া হইবে। আমি বাহির হইয়া আসিয়া অন্যান্য লোকদেরকে দোযখ হইতে বাহির করিয়া আনিব এবং জান্নাতে লইয়া যাইব ।

আরো পড়ুন>> নবীজীর হাত থেকে পানির নহর


তারপর আমি তৃতীয়বার আসিয়া আমার প্রভুর নিকট নৈকট্য লাভের জন্য অনুমতি চাহিব এবং তজ্জন্য অনুমতি দেওয়া হইবে। যখন আমি তাঁহাকে দেখিব, আমি সেজদায় পড়িয়া যাইব এবং তিনি যতক্ষণ ইচ্ছা আমাকে এই অবস্থায় রাখিবেন। তারপর তিনি বলিবেন— হে মোহাম্মদ! উঠ এবং বল, তোমার কথা শুনা হইবে। শাফায়াত কর, তোমার শাফায়াত গ্রহণ করা হইবে এবং যা চাও, দেওয়া হইবে।


তারপর আমি আমার মস্তক উত্তোলন করিয়া আমার প্রভুর এমন প্রশংসাবাদ করিব যাহা তিনি আমাকে শিক্ষা দিয়াছিলেন। তারপর আমি শাফায়াত করিব, কিন্তু তিনি সংখ্যা নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন। তারপর আমি বাহির হইয়া আসিয়া তাহাদিগকে দোযখ হইতে বাহির করিয়া আনিব এবং জান্নাতে লইয়া যাইব। এমন কি তখন দোযখে আর কেহ থাকিবে না, ঐ ব্যক্তিগণ যাহাদিগকে কোরআন মাজীদ আবদ্ধ রাখিবে। অর্থাৎ যাহারা তথায় বরাবর থাকিবে।


তারপর তিনি এই আয়াত পাঠ করিলেন- সম্ভবতঃ তিনি তোমাকে মাকামে মাহমুদ স্থানে পাঠাইবেন। তিনি বলিলেন— এই মাকামে মাহমুদই তোমাদের নবীর জন্য প্রতিষ্ঠা করা হইয়াছে। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)


হযরত আবু হোরায়রা রা. হইতে বর্ণিত আছে যে,

হযরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন- বিচারের দিন আমার শাফায়াতের সৌভাগ্য ঐ লোকদের জন্য হইবে, যাহারা খালেছ নিয়তে অন্তরের দ্বারা বলিয়াছে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য উপাস্য নাই । (বোখারী শরীফ)


হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে,

হযরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন- আমার উম্মতের অনেক লোক অনেক দলের জন্য শাফায়াত করিবে। তাহাদের মধ্যে কেহ এক কাওমের জন্য শাফায়াত করিবে। তাহাদের মধ্যে কেহ একজনের জন্য শাফায়াত করিবে যে পর্যন্ত তাহারা জান্নাতে না যায় । (তিরমিযী শরীফ)


***আল্লাহ আমাদের সকলকে প্রিয় নবীর শাফায়াত নছিব করুন। (আমিন)***

***ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন এবং সওয়াবেরে উদ্দেশ্যে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন।


Leave a Reply